চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন নির্যাতনের শিকার হয়ে জামায়াতকর্মী আহমদ ছাফার (৪২) মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিও জানিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগের কথা জানায় জামায়াত।
এর আগে অসুস্থবোধ করায় বুধবার রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা আহমদ ছাফাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহমদ ছফা সাতকানিয়ার উত্তর রামপুরার এজাহার মিয়ার বাড়ির এজাহার মিয়ার ছেলে। নগরীর দেওয়ানহাটে এস এ মোটরস নামে একটি গাড়ির যন্ত্রাংশের দোকানে চাকরি করতেন তিনি।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) সালেহ মো. তানভীর বলেন, গত ২৪ মে রাতে চকবাজার এলাকায় গোপন বৈঠক থেকে আহমদ ছাফাসহ ৬জনকে গ্রেফতার করেছিল গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর নাশকতার একটি মামলায় আহমদ ছাফাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছিল। বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে কারাগার থেকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। এরপর তিনি অসুস্থবোধ করায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, রাত ৮টার দিকে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তাকে কোন ধরনের নির্যাতন করা হয়নি।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে আহমদ ছাফার গ্রামের বাড়ি ঢেমশা ইউনিয়নের পশ্চিম রামপুর জামে মসজিদ ঈদগাহ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের সহ প্রচার সম্পাদক আবু হামিদ সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডিবি পুলিশের রিমান্ডের নামে নির্যাতনে সাতকানিয়ার জামায়াত কর্মী আহমদ ছাফার মৃত্যুতে গভীর শোক, তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জামায়াত। আহমদ সাফার স্মরণে এক দোয়া মাহফিল বাকলিয়ায় চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারী মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষী পুলিশ কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানানো হয়েছে। আগামী শুক্রবার দোয়া মাহফিল ও শনিবার চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রতিটি থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করা হবে।
উক্ত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ জাফর সাদেক। দোয়া মাহফিলে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিণ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মুহাম্মদ ইসহাক, নগর জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ্, নগর উত্তর শিবিরের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, সাতকানিয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মো: ইব্রাহীম চৌধুরী, নগর জামায়াত নেতা এম.এ.আলম, ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুছ।