একুশে প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম নগরে ৩৮ টি ফুটওভার ব্রিজসহ বেশ কয়েকটি নতুন রাস্তা নির্মাণ, সংস্কারের (অলি-গলি পর্যন্ত) জন্য সম্প্রতি ২ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা একনেকে অনুমোদন দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্পের ২৫ শতাংশ সিটি করপোরেশনের নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়ার প্রসঙ্গটি সামনে আসে। তখনই একনেক মিটিংয়ে অংশ নেওয়া চট্টগ্রামের মেয়র রেজাউল করিম বললেন, নেত্রী, সিটি করপোরেশনে তো কোনো টাকা নেই। আমরা কীভাবে, কোত্থেকে দেব, আমাদের মাফ করে দিয়ে পুরো টাকাটা সরকার থেকে দেওয়া যায় না! স্মিত হেসে প্রধানমন্ত্রী বললেন- যাও, মাফ করে দিলাম তোমাকে, পুরো টাকাই সরকার দেবে।’
গত রোববার (২৪ এপ্রিল) রাতে অসুস্থ একুশে পত্রিকা সম্পাদক আজাদ তালুকদারকে তার পূর্ব নাসিরাবাদের বাসায় দেখতে এসে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী নানা কথাচ্ছলে এসব তথ্য তুলে ধরেন।
বলেন, শুধু তাই নয়, ১ হাজার ৩৬২ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে চসিকের ‘বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদনের সময়ও এমনি করে ‘মাফ’ পেয়ে যান রেজাউল করিম।
জানা যায়, আগে এ প্রকল্পে ২৫ শতাংশ চসিকের তহবিল থেকে দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। যখনই এই বাধ্যবাধকতার বিষয়টি একনেকের বৈঠকে সামনে চলে আসে, তখনই দাঁড়িয়ে যান মেয়র রেজাউল করিম। বিনীতভাবে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন, এই ২৫ শতাংশও মওকুফ করে দিতে। রেজাউলের অনুরোধে শেষপর্যন্ত সংশোধিত বারইপাড়া প্রকল্প অনুমোদনেও শতভাগ সরকারি বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন প্রধানমন্ত্রী।
মেয়র রেজাউল করিমের এক্ষেত্রে একনেক বৈঠকে অংশ নেওয়া চট্টগ্রামের মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, তারাও সিটি করপোরেশনের অর্থায়ন ছাড়া প্রকল্পটি বাস্তবায়নে একনেক বৈঠকে সমর্থন ও সহযোগিতা করেছেন বলে জানান মেয়র রেজাউল।
প্রসঙ্গত, প্রকল্পটির আওতায় ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ খালখনন, খালের উভয় পাশে ২০ ফুট করে সড়ক ও ৬ ফুট করে ফুটপাত হবে। ৬৫ ফুট প্রশস্ত হবে খালটি। ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ ইতিমধ্যে ৯১১ কোটি টাকা জেলা প্রশাসনকে দিয়েছে চসিক। ৫ দশমিক ৫ কিমি সড়ক ও ৫ দশমিক ৮ কিলোমিটার রিটেইনিং ওয়াল, ৯টি ব্রিজ তৈরি হবে এ প্রকল্পের অধীনে।