চট্টগ্রামে নোঙর করেছে ত্রাণবাহী ভারতীয় জাহাজ

চট্টগ্রাম: ত্রাণ সামগ্রী ও গভীর সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা ৩৩ বাংলাদেশি জেলেকে নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের ৫ নম্বর জেটিতে নোঙর করেছে ভারতীয় জাহাজ ‘আইএনএস সুমিত্রা’। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের ৫ নম্বর জেটিতে নোঙর করে জাহাজটি। এরপর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কাছে ত্রাণ হস্তান্তর করা হয়।

অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোরায় নিহতের ঘটনায় আমরা শোক জানাচ্ছি। আইএনএস সুমিত্রা প্যাকেটজাত খাবার, তাবু, কাপড়চোপড় ও প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জামসহ চট্টগ্রাম এসেছে। আমরা অন্য জাহাজগুলোকে প্রস্তুত রেখেছি, যাতে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণসহ বাংলাদেশের যে কোনো প্রয়োজনে কাজে আসতে পারে।

তিনি বলেন, এ সাইক্লোনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হতে পারত। সরকার যথাযথ পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়ায় সেটা হয়নি। বন্ধু ও বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশের মানুষকে যে কোনো প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলা করতে পাশে থাকবে।

ভারতীয় এ কূটনীতিক আরও বলেন, আইএনএস সুমিত্রা বাংলাদেশের আসার পথে ৩৩ জনকে উদ্ধার করেছে। তারা সবাই মহেশখালী উপজেলার বাসিন্দা। ত্রাণ তৎপরতায় সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনী, জেলা প্রশাসন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

৩৩ জেলেকে উদ্ধারের বর্ণনা দিয়ে আইএনএস সুমিত্রা’র কমান্ডিং অফিসার পি কে শ্রিনান বলেন, আমরা তখন চট্টগ্রাম থেকে ৯০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে। তখন একটি বড় গাছ দেখতে পাই। পরে লক্ষ্য করে দেখলাম সেখানে দুটি হাত উদ্ধারের আহ্বান জানাচ্ছে। আমরা আরও কাছে গিয়ে দেখি গাছটি আঁকড়ে ধরে আছে অন্তত ১৫ জন মানুষ। তাদের উদ্ধারে মেরিন কমান্ডারকে নির্দেশ দিলে তারা ৩৩ জন জেলেকে উদ্ধার করে। এতগুলো মানুষকে উদ্ধার করতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত।

তিনি আরও বলেন, প্রায় ৩৬ ঘন্টা তারা পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। উদ্ধার করে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবার দেওয়া হয়। তাদের উদ্ধার করতে পেরে আমরা নিজেদের ধন্য মনে করছি।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে আনুষ্ঠানিক ত্রাণ গ্রহণ করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।