চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় মহেশ খালের ওপরের বাঁধ অবশেষে অপসারণ করা হচ্ছে। এর ফলে বাঁধসংলগ্ন এলাকার পাঁচ লাখের বেশি মানুষ জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনে অনুষ্ঠিত বন্দর কর্তৃপক্ষ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সিটি করপোরেশনের যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভায় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, মহেশ খালের উপর একটি অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করেছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর ফলে ওই এলাকার একটি অংশের মানুষ সুফল পেয়েছে। কিন্তু আরেকটি অংশের মানুষ বলছে, বাঁধের কারণে তাদের দুর্ভোগ বেড়েছে। গতকালের অতিবর্ষণে মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। তাই জনদুর্ভোগ বিবেচনা করে বন্দর কর্তৃপক্ষ যতদ্রুত সম্ভব বাঁধটি অপসারণ করবে। যদি আমাদের অপসারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তবে আমরা করবো।
এদিকে সভায় মহেশ খালের ওপরের বাঁধটি অপসারণ করে পানি নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্তের বিষয়ে সবাই একমত প্রকাশ করেন। মহেশ খালে বাঁধের পরিবর্তে একটি স্লুইসগেট নির্মাণসহ পুরো খালটি ড্রেজিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে দেড় বছর সময়ের মধ্যে এসব কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছে সিটি করপোরেশন।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য কমোডর জুলফিকার আজিজ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা।
প্রসঙ্গত ২০১৫ সালে মহেশ খালে ১২০ ফুট দীর্ঘ ও ৩০ ফুট উচ্চতার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এরপর কিছুদিন জোয়ারের পানি থেকে আশপাশের এলাকার মানুষ মুক্তি পেলেও ২০১৬ সালে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর সময় থেকে ফের জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতে শুরু করে। এরপর থেকেই এই বাঁধ অপসারণের দাবি জানিয়ে নানা কর্মসূচী পালন করে আসছিল স্থানীয়রা।