চট্টগ্রাম: আগামী বাজেটে কর আরোপের যোগ্য সেবা খাতের পরিধি বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। এছাড়া রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য তিন গুণ বাড়িয়ে ছয় লাখ ৩৮ হাজার ১৪২ কোটি টাকা করারও প্রস্তাব করা হয়েছে।
বুধবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম ইছমাইল এ প্রস্তাবনা দেন।
তিনি বলেন, গত বছরের বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ছিল দুই লাখ ৮হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা। গত বাজেটে সেবা খাতের অনেকগুলোকে আয়ের উৎস হিসাবে রাখা হয়নি। দেশে কর্মরত বিদেশি ও পর্যটকদের উপর কর, সম্পদ কর, বিমান পরিবহন ও ভ্রমণ কর ও বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে করারোপের আওতায় আনা যায়। এর মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব।
এ কে এম ইছমাইল বলেন, বিউটি পার্লার, সেলুন, রেস্তরাঁ ও বেসরকারি হাসপাতালগুলো ভ্যাটের কথা বলে মানুষ থেকে টাকা নিচ্ছে। কিন্তু তারা সরকারকে আদায়কৃত অর্থ জমা দেয় না। করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও ব্যাপক কর ফাঁকি দেয়। এ বিষয়ে কঠোর নজরদারি এবং কর আদায়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্নীতি বন্ধ করা প্রয়োজন। নিজস্ব আয় বাড়ানোর দিকে সরকারের মনোযোগ দেওয়া উচিত।
অর্থনীতি সমিতির চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি জ্যোতি প্রকাশ দত্ত বলেন, মৌলবাদ বিস্তারে জামায়াত তার শতাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করছে। বিদেশ থেকে অর্থ এনে সেই অর্থ তারা ব্যবহার করছে সরকারের বিরুদ্ধেই। জামায়াত সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিষিদ্ধ না করলে জামায়াত ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রন সম্ভব হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- অর্থনীতি সমিতির চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম, কোষাধ্যক্ষ সুজিত কুমার দত্ত ও সদস্য মনছুর এম ওয়াই চৌধুরী প্রমুখ।