নথি জালিয়াতি: হাইকোর্টের নজরে আনতে গড়িমসি, ‘নন প্রসিকিউশন’ করার নেপথ্যে


এম কে মনির : জাল কাগজে অন্তত সাতটি রিট করার তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরে “হাইকোর্টে সাতটি জাল ‘পরিবেশ ছাড়পত্র’ দাখিল করে আদেশ লাভ” শিরোনামে গতকাল একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে একুশে পত্রিকা।

প্রতিবেদন প্রকাশের পরদিন আজ রোববার হাইকোর্টের এনেক্স বিল্ডিংয়ের ১৫ নং কোর্টে অন্তত সাতটি রিট (২২৪৪/২২, ২২৪৫/২২, ২২৪৬/২২, ২২৪৭/২২, ২২৪৮/২২, ২২৪৯/২২ ও ২২৫০/২২) লিস্টে আনা হয়; যেগুলো জাল পরিবেশ ছাড়পত্র দিয়ে করা হয়েছে।

এরপর দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেছে, উক্ত রিটগুলোর মধ্যে ২২৪৬/২২, ২২৪৭/২২, ২২৪৮/২২, ২২৪৯/২২ ও ২২৫০/২২ ‘নন প্রসিকিউশন’ করা হয়েছে। অর্থ্যাৎ আইনজীবী সজল মল্লিক মামলা চালাবেন না বলে জানিয়েছেন আদালতকে, তাই খারিজ।

অন্তত পাঁচটি রিট ‘নন প্রসিকিউশন’ করার কারণ জানতে আইনজীবী সজল মল্লিকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ‘নন প্রসিকিউশন’ করা একটি রিটের বাদী ও রাঙামাটির মেসার্স জালালিয়া ব্রিকস ম্যানুফেকচারিংয়ের মালিক সিরাজুল ইসলাম একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের আর রিট প্রয়োজন নেই। তাই আমরা রিট প্রত্যাহার করে নিয়েছি। আমরা ইটভাটা আর চালাব না।’

‘নন প্রসিকিউশন’ করার সময় রোববার উচ্চ আদালতে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অরবিন্দ কুমার রায় একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘কেউ যদি জাল কাগজপত্র প্রদর্শন করে হাইকোর্ট থেকে স্থিতাবস্থার আদেশ গ্রহণ করে, এটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। অপরাধটি বাদী করুক বা আইনজীবী করুক, কোর্ট চাইলে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে পারেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, ‘এমনও হতে পারে ওই আইনজীবী অপরাধ করে ফেলেছেন, এখন তিনি বাঁচার জন্য ‘নন প্রসিকিউশন’ করেছেন। অর্থাৎ তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন, যখন দেখলেন যে এটি অনেক বড় ঘটনা হয়ে যাচ্ছে। তিনিও আইনের মুখোমুখি হতে পারেন।’

রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী অরবিন্দ কুমার রায় আরও বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের নিজস্ব আইনজীবী আছে। তারাও জালিয়াতির বিষয়টি অ্যার্টনি জেনারেল বরাবর জানাতে পারেন। তখন আদালত নিজ দায়িত্বে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে নির্দেশ দিতে পারেন।’

এদিকে এত বড় নথি জালিয়াতির ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনতে রাষ্ট্রপক্ষের ও পরিবেশ অধিপ্তরের আইনজীবীরা গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

জালিয়াতির বিষয়টি আদালতের নজরে আনবেন কি না জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, ‘আমি জানাবো না। এ বিষয়ে অন্য কাউকে অভিযোগ করতে হবে। তারপর ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানাতে হবে। অথবা অন্য কোন আইনজীবীকে বলতে হবে। তাহলে অ্যার্টনি জেনারেল ব্যবস্থা নেবেন।’

এর আগে গত ১০ ও ১১ মার্চ দুই দফায় সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল সিরাজুল আলম ভূঁইয়াকে জালিয়াতির বিষয়টি জানানো হয়; তখন তিনি একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘রিট আবেদনের মূল নথি পরীক্ষা করে ভুয়া নথি ও মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগটি যাছাই করা হবে। প্রমাণ পেলে আদালতের নজরে আনা হবে।’

কিন্তু এখনও নজরে আনা হয়নি।

এছাড়া গতকাল ২ এপ্রিল এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব বিষয়ে যারা ইন্টারেস্টেট তাদেরকে এ মামলায় পক্ষভুক্ত হতে হবে। কোর্ট মনে করেছে ছাড়পত্রগুলো আসল। এখন জালিয়াতির বিষয়টি নজরে আনা হলে রিট বাতিল হবে। এমনকি শাস্তির আওতায়ও আনা হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও পরিবেশ অধিদপ্তরের নিজস্ব আইনজীবী আছে। তারাও বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনতে পারে। ছাড়পত্র নিয়ে এতো বড় জালিয়াতি করা হয়েছে তাদের দপ্তর নিয়ে, তাদের তো করণীয় থাকবে।’

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আজ রোববার বিকেলে পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হুমায়ুন কবির একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আপনি অবগত করেছেন। আমরা জেনেছি। এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেব।’ জালিয়াতির বিষয়টি আদালতকে লিখিত জানাবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এসব মহামান্য আদালতের বিষয়। ফোনে আর কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’

প্রসঙ্গত, হাইকোর্ট থেকে স্থিতাবস্থার (স্ট্যাটাস কো) আদেশ নিতে অন্তত সাতটি ‘পরিবেশ ছাড়পত্র’ জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে; সবকটি রিটেই বাদী পক্ষে আছেন সজল মল্লিক নামের একজন আইনজীবী।

এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি হাইকোর্টের দেয়া একটি আদেশ পেয়ে রাঙামাটির কাউখালীর বেতবুনিয়ার সুগারমিল আদর্শ গ্রাম এলাকার ‘জালালিয়া ব্রিকস ম্যানুফেকচারিং’সহ তিন পার্বত্য জেলার মোট ৬৪টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।

এরপর স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাস কো) চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন (২২৪৬/২২) করেন জালালিয়া ব্রিকস ম্যানুফেকচারিং নামক ইটভাটার মালিক সিরাজুল ইসলাম। আবেদনটি করার সময় জালালিয়া ব্রিকসের নামে ২০১৯ সালের ২ এপ্রিল ইস্যু করা একটি ‘পরিবেশ ছাড়পত্র’ সংযুক্ত করে দেয়া হয়।

উক্ত আবেদনের উপর গত ২০ ফেব্রুয়ারি শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ পক্ষগুলোকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। এরপর জালালিয়া ব্রিকসের কার্যক্রম চালু করেন মালিক সিরাজুল ইসলাম।

তবে একুশে পত্রিকার অনুসন্ধানে জানা গেছে, হাইকোর্টে দাখিল করা পরিবেশের সেই ছাড়পত্র জালিয়াতি করে তৈরি করা। জাল ছাড়পত্রটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল তাদেরকে (জালালিয়া) পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান করেছে ২০১৯ সালের ২ এপ্রিল। সেখানে স্বাক্ষর দেয়া হয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাবেক পরিচালক মো. নাজমুল হকের।

অথচ মো. নাজমুল হক ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই থেকে ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সরকারের সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা নাজমুল হকের স্বাক্ষর জাল করে ছাড়পত্রটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়েও ছাড়পত্রটি জাল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

পরিবেশ ছাড়পত্র জালিয়াতি করে উচ্চ আদালতে উপস্থাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে জালালিয়া ব্রিকস ম্যানুফেকচারিংয়ের মালিক সিরাজুল ইসলাম একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব এখন আর বলিয়েন না। যা হওয়ার হয়ে গেছে। বাদ দেন। খুব টেনশনে আছি। আপনি আমাকে পরে ফোন দিয়েন নিরিবিলি কথা বলব।’ জাল ছাড়পত্র কীভাবে পেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন আপনাকে এতো কথা বলতে পারব না। আমাদের ভাটা বন্ধ বর্তমানে।’

উচ্চ আদালতে সিরাজুলের আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন সজল মল্লিক; যদিও এক প্রশ্নের জবাবে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘সজল মল্লিক নামের কাউকে আমি চিনি না। এগুলো অন্য একজনকে দিয়ে করেছি।’ এসময় জালিয়াতির বিষয়টি সম্পর্কে আরও জানতে চাইলে সিরাজ এ প্রতিবেদককে সাংবাদিক মহলে তার পরিচিতির কথা তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন।

জালালিয়া ব্রিকস ম্যানুফেকচারিংয়ের পথ ধরে আরও অন্তত ছয়টি ইটভাটা উচ্চ আদালত থেকে স্থিতাবস্থার আদেশ গ্রহণে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।

হাইকোর্ট থেকে স্থিতাবস্থার আদেশ পেতে জাল পরিবেশ ছাড়পত্র দিয়ে রিট আবেদন করেন রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার রাইখালীতে অবস্থিত আশা ব্রিকস ম্যানুফেকচারের মালিক স্বপন কান্তি মহাজন (রিট আবেদন নং-২২৪৭/২২), বেতবুনিয়ায় অবস্থিত মেসার্স কাদের ব্রিকস ম্যানুফেকচারের মালিক মো. সৈয়দ হোসেন (রিট আবেদন নং-২২৪৮/২২), তারাবুনিয়াস্থ মেসার্স খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ব্রিকসের মালিক মো. ফারুক মিয়া (রিট আবেদন নং-২২৪৯/২২), গাড়িছড়া এমবিএম ব্রিকসের মালিক মো. নাসির উদ্দিন (রিট আবেদন নং-২২৫০/২২), মাতব্বরখোলাস্থ মেসার্স আমেনা-তাসফিয়া ব্রিকসের মালিক মো. মূছা (রিট আবেদন নং-২২৪৪/২২) ও মেসার্স আল মদিনা ব্রিকসের মালিক মো. আবু মনচুর মিয়া (রিট আবেদন নং-২২৪৫/২২)।

এদের মধ্যে আশা ব্রিকস ও আমেনা-তাসফিয়া ব্রিকসের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২০ এপ্রিল শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ পক্ষগুলোকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। অন্যদিকে কাদের ব্রিকস, খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী, এমবিএম ও আল মদিনা ব্রিকসের আবেদনের শুনানি করা হয় গত ৭ মার্চ। সেই শুনানিতেও পক্ষগুলোকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।

উপরোক্ত সবকটি ইটভাটাই হাইকোর্টে আবেদনের সঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের ‘ছাড়পত্র’ যুক্ত করে দেয়া হয়েছে। যদিও তাদের কাউকেই পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়নি। সম্পূর্ণ জাল পরিবেশ ছাড়পত্র তৈরি করে হাইকোর্টে প্রদর্শন করেছেন এসব ইটভাটার মালিকরা।

ইটভাটাগুলোর রিট আবেদনে যুক্ত করা পরিবেশ ছাড়পত্রগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে, আশা ব্রিকস যুক্ত করেছে ২০১৮ সালের ১০ মে ইস্যু করা ছাড়পত্র, কাদের ব্রিকস করেছে ২০১৮ সালের ৯ মে ইস্যু করা ছাড়পত্র, খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী করেছে ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ইস্যু করা ছাড়পত্র। আর গাড়িছড়ার মেসার্স এমবিএম ব্রিকস করেছে ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর ইস্যু করা ছাড়পত্র, আল মদিনা করেছে ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ও আমেনা-তাসফিয়া ব্রিকস করেছে ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর ইস্যু করা ছাড়পত্র। উপরে উল্লেখিত আশা ব্রিকস রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত হলেও বাকিগুলো কাউখালী উপজেলায় অবস্থিত।

এসব ইটভাটার হাইকোর্টে প্রদর্শন করা সবকটি পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের ছাড়পত্রে প্রতিষ্ঠানটির চট্টগ্রামের সাবেক পরিচালক মো. নাজমুল হকের (উপসচিব) স্বাক্ষর রয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের নামে জাল করা এসব ছাড়পত্র ২০১৮ ও ২০১৭ সালের। অথচ স্বাক্ষর দেখানো নাজমুক হক ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই থেকে ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।

সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাজমুল হকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে এসব ছাড়পত্র তৈরি করা হয়েছে। তাও আবার কর্মস্থল ছেড়ে যাওয়ার ১৩ বছর পরে। এছাড়াও এসব ছাড়পত্র জাল বলে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাড়পত্রগুলো জাল তা দেখলেই বুঝা যায়। তাছাড়া তাদের কেউ কেউ নতুন ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছে। যদি আগে পেয়েই থাকতো তাহলে নতুন করে আবেদন করার কথা নয়। তারা হাইকোর্টকে বলে আমাদের কাছে বারবার আবেদন করার পরও নাকি আমরা ছাড়পত্র দিচ্ছি না। সেক্ষেত্রে আমরা আদালতকে লিখিত জবাব দিই। পরিবেশের অবস্থানগত ও পরিবেশগত বিষয় অনুকূলে না থাকায় আমরা ছাড়পত্র প্রদান করিনি এসব তথ্য আদালতে উপস্থাপন করি।’

জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সবগুলো আবেদনে ইটভাটার মালিক পক্ষের আইনজীবী সজল মল্লিক একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে যে কাগজপত্রগুলো জমা দিয়েছে, আমি সেগুলো দিয়ে আবেদন করেছি। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের ছাড়পত্র জাল নাকি আসল তা যাচাইয়ের সক্ষমতা আমার নেই।’

পরিবেশ ছাড়পত্র জালিয়াতি করে আদালতে উপস্থাপনের বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি দালাল চক্র এসব করছে। বিষয়টি হাইকোর্টকে জানানো হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত তারা কয়েকটি অপরাধ সংঘটিত করেছেন। তারা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র জাল করেছেন, সাবেক পরিচালকের স্বাক্ষর জালিয়াতি, উচ্চ আদালতে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন। এসব শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পরিবেশ অধিদপ্তর চাইলে উচ্চ আদালতে আবেদন করে রিট বাতিল করতে পারে।’