জোবায়েদ ইবনে শাহাদাত : মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন চট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দারা। ফুটপাত থেকে বাসাবাড়ি-সব জায়গায় যেন মশার রাজত্ব। সন্ধ্যা থেকে রাত, এমনকি দিনেও নিস্তার নেই মশার কামড় থেকে। উপদ্রব বাড়লেও মশা নিধনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) কার্যক্রম চোখে পড়ছে না বলে বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন।
হাতেগোনা কয়েকটি এলাকায় নালা-নর্দমা ও ভবনের আশপাশের জায়গায় চসিকের কর্মীরা ওষুধ ছিটিয়ে গেলেও ওই ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে যেমন অভিযোগ আছে, তেমনি ওষুধ ছিটানোর সময় নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। ফলে বিপুল টাকা খরচের পরও বাস্তবতা হচ্ছে, প্রতিবছরই মশার উপদ্রব আগের চেয়ে বাড়ছে। এখনই মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আসছে বর্ষায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মশা নিধন প্রতিনিয়ত ব্যর্থতার প্রমাণ দিচ্ছে চসিক। মশা মারতে ঘটা করে চালু করা ‘বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রামের’ নামে আইওয়াশ, দফায় দফায় ওষুধ কেনা ও পরিবর্তনের নামে কোটি কোটি টাকা অপচয় হচ্ছে। ৬০ লক্ষাধিক মানুষের বিপরীতে মাত্র ১৬৪ জন কর্মী দিয়ে মশক নিধনের বৃথা চেষ্টা, বরাদ্দকৃত বাজেট অন্যত্র খরচ ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের ওপর স্ট্যান্ডিং কমিটির ছড়ি ঘোরানোসহ নানা কারণে মশা মারতে চসিক ব্যর্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে মশার ওষুধ ছিটানোর সময় নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওষুধ ছিটানোর উপযুক্ত সময় হচ্ছে সন্ধ্যা। কিন্তু দিনের বেলায় ওষুধ ছিটিয়ে কর্পোরেশন ওষুধের অপচয় করছে। জেলা কীটতত্ত্ববিদ এন্তেজার ফেরদৌস জানান, মশার ওষুধ ছিটানোর উপযুক্ত সময় হলো সন্ধ্যা। এসময় ওষুধ ছিটালে অধিক মশা মারা যায়। দিনের বেলা এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হলে তেমন কোনো সুফল আসে না। কিন্তু নগরে মশার লার্ভা ধ্বংসের ক্রাশ প্রোগ্রাম এবং মশার ওষুধ ছিটানো হয় দিনের বেলায়।
এদিকে, মশা নিধনে চসিকের এমন ব্যর্থতার অন্যতম প্রধান কারণ পরিচ্ছন্নতা বিভাগের সঙ্গে বর্জ্য ও মশা নিধন স্ট্যান্ডিং কমিটির সমন্বয়হীনতা। সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করে জানিয়েছেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই পরিচ্ছন্ন বিভাগের ওপর স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মোবারক আলী ছড়ি ঘোরাচ্ছেন ইচ্ছেমতো; শুনছেন না কারও পরামর্শ। মশক নিধনে কাউন্সিলর মোবারক আলীর কেনা দামি মেশিন কিংবা ওষুধ কোনটির ব্যাপারেই সমন্বয় করা হয়নি পরিচ্ছন্নতা বিভাগের দায়িত্বশীলদের সাথে।
পূর্বের প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ায় মশা নিধনে ঢাকায় ওষুধ ব্যবহারের প্রক্রিয়া জানতে প্রায় দুমাস আগে স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মোবারক আলী, ১৫ নং বাগমনিরাম ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন ও উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদ আলম চৌধুরীর সমন্বয়ে একটি টিম করে দেন মেয়র রেজাউল। যদিও বাকিদের ফেলে নিজেই ঢাকায় চলে যান মোবারক। ঢাকা থেকে ফিরে তিনি মশা নিধনে ঢাকা থেকে ওষুধ (মেরিসল ও মেলাটিউন ০.৫) কিনতে মরিয়া হয়ে উঠেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
তবে আইইডিসিআরের (রোগতত্ত্ব, রােগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট) ছাড়পত্র না থাকা এবং ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে কালো তালিকাভুক্ত থাকায় সেই ওষুধ কিনতে সম্মতি দেয়নি পরিচ্ছন্নতা বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। যার ফলে মেয়রও এই আবেদন খারিজ করে দেন, রাজি হননি। আগে অদৃশ্য দ্বন্দ্ব থাকলেও এ ঘটনার পর পরিচ্ছন্নতা বিভাগের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থায় চলে যায় স্ট্যান্ডিং কমিটি।
অভিযোগ, এর জেরেই জ্যেষ্ঠতার তোয়াক্কা না করেই নিজ ওয়ার্ডের অস্থায়ী সুপারভাইজার মিজানুর রহমানকে চসিকের মশা নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার চেয়ারে বসিয়েছেন মোবারক আলী। যদিও এরপর থেকেই পরিচ্ছন্নতা বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ। এমনকি কর্মচারীরা তার নির্দেশনাও মানছে না বলেও অভিযোগ আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিচ্ছন্নতা বিভাগের একজন কর্মকর্তা অভিযোগ করে একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিচ্ছন্ন বিভাগের বাধার কারণে নিজের ইচ্ছেমতো ওষুধ কেনায় কমিশন বাণিজ্য করতে পারছেন না মোবারক আলী। তাই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জিম্মি করে নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে কৌশলে এ ধরণের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তিনি।
অন্যদিকে, ৬০ লক্ষাধিক মানুষকে মশার উপদ্রব থেকে বাঁচাতে সম্প্রতি ৪১ ওয়ার্ডের প্রতি ওয়ার্ডে ৪ জন করে মাত্র ১৬৪ জন কর্মী নিয়োগ দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। যদিও বিশিষ্ট ব্যক্তি, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রভাবশালী নেতাদের বাসা ও এলাকায় মশার ওষুধ ছিটাতে সিটি কর্পোরেশন ৬০ জনের একটি বিশেষ দল রেখেছে বলেও অভিযোগ আছে।
এ ব্যাপারে পরিচ্ছন্ন বিভাগের বেশ কয়েকজন কর্মচারী জানান, কখনও মেয়র, কখনও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, আবার কখনও রাজনৈতিক নেতাদের ফোন আসে মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য। তাদের জন্যই ৬০ জনের এই বিশেষ টিম রেখেছে কর্তৃপক্ষ। কখনও রাতে আবার কখনও ভোরে ছুটতে হয় ওষুধ ছিটানোর জন্য। অথচ যেখানে ওষুধ ছিটানোর প্রয়োজন সেখানে তারা ছিটাতে পারছেন না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মশা নিধন ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনায় পরিচ্ছন্নতা বিভাগের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা বাজেট স্বল্পতা। এ ব্যাপারে বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের এক কর্মকর্তা। একুশে পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতা বিভাগের মোট বরাদ্দের ৩০ শতাংশ টাকাও আমরা প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করতে পারি না। যেখানে অন্য বিভাগের বেঁচে যাওয়া টাকা পরিচ্ছন্নতা বিভাগে দেওয়া প্রয়োজন, সেখানে এই বিভাগের বরাদ্দকৃত অর্থ অন্য খাতে কর্পোরেশন ব্যয় করে ফেলছে। অন্তত বরাদ্দের ৭৫ শতাংশ টাকাও যদি আমরা পেতাম নগরবাসীকে এই নরকযন্ত্রণা সহ্য করতে হতো না। চসিকের বিগত সময়ের বরাদ্দ ও ব্যয়ের হিসেব দেখলেই আপনারা সত্যতা পাবেন।’
এদিকে মশা নিধনের জন্য কেনা মেশিনের বিষয়েও মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওষুধ ছিটানোর জন্য ১৩১টি হ্যান্ড স্প্রে মেশিন এবং ৭৯টি ফগার স্প্রে মেশিন থাকলেও নতুন করে ব্যয়বহুল ১১৯টি ‘টু স্ট্রোক স্প্রে মেশিন’ সংগ্রহ করেছে চসিক। যার মধ্যে প্রতিটি ২৮ হাজার টাকা দরে ৭০ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ১০টি পাওয়ার স্প্রে মেশিন, ২৬ হাজার টাকায় ৬০ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৯টি হ্যান্ড স্প্রে মেশিন, ২৪ হাজার টাকায় ২০ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ১০টি হ্যান্ড স্প্রে মেশিন এবং ২০ হাজার টাকার ৯০টি ১৮ লিটার ধারণ ক্ষমতার হ্যান্ড স্প্রে মেশিন রয়েছে।
জানা যায়, নতুন মেশিনগুলো কিনতে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল বর্জ্য ও মশা নিধন স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মোবারক আলীর। তার পছন্দ করা মেশিনগুলোই কিনে দেওয়া হয়েছে পরিচ্ছন্নতা বিভাগে। এক্ষেত্রে পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাদের ভূমিকা ছিল প্রায় শূন্য। যদিও চসিক থেকে জানানো হয়, পুরনো হ্যান্ড স্প্রে মেশিনের মধ্যে ৭০টি এবং ফগার মেশিনের ২০টি অচল হওয়ায় নতুন মেশিনগুলো কিনতে হয়েছে সংস্থাটির।
তবে সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্যমতে, নষ্ট বলে ফেলে রাখা এসব মেশিন মেরামত করলেই নতুনভাবে ব্যবহার করা যেত। পরিচ্ছন্নতা বিভাগের মালামাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা এক কর্মচারী বলেন, ‘মশা মারতে নিত্যনতুন ওষুধের মত নতুন মেশিন কেনায় চসিকের আগ্রহ বেশি। কারণ এতে ভালো কমিশন বাণিজ্য হয়। অথচ সামান্য একটা যন্ত্রাংশের সমস্যার কারণে বহু মেশিন পড়ে আছে। যন্ত্রাংশ বদলালেই সেগুলো ঠিক হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফেলে রাখা এসব মেশিনের মেরামত করা না হলেও এর মেরামত ব্যয় দেখিয়ে প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখের বেশি টাকা পকেটে ভরেছে চসিকের যান্ত্রিক বিভাগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অথচ এসব মেশিন ঠিক করা তো দূরের কথা একটি বারের জন্য ধরেও দেখা হয়নি।’
মশা নিধন কার্যক্রমে এত সব অনিয়ম ও দুর্নীতির ফিরিস্তি ক্রমশ বাড়তে থাকলেও মশার উপদ্রব থেকে মুক্তি মিলছে না নগরবাসীর। প্রায় প্রতিটি এলাকায় মশার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেলেও মশা দমনে সিটি কর্পোরেশনের লোক দেখানো কার্যক্রমই চলছে বরাবরের মতো। ফলে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুসহ অন্যান্য রোগের আশংকা রয়েই যাচ্ছে। মশার কামড়ে শিশুসহ বয়স্ক নারী-পুরুষ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
জানতে চাইলে চসিকের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদ আলম চৌধুরী একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘নানা সংকটের মধ্য দিয়ে আমাদের মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। লোকবল সংকটের পাশাপাশি এই মূহুর্তে আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা বাজেট স্বল্পতা। অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনের তুলনায় আমরা এদিকে পিছিয়ে আছি। তারপরও আমাদের যা আছে তা নিয়ে আমরা যথাসম্ভব কাজ করে যাচ্ছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওষুধ ছিটানো নিয়ে কিছু সমস্যা আছে। এর আগে বিভিন্ন ধরণের ওষুধ আমরা ট্রাই করেছি। অনেকটা জোড়াতালি দিয়েই আমাদের ওষুধ ছিটাতে হয়েছে। নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর সম্প্রতি নতুন ওষুধ কেনার জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই কাজ হয়ে গেলে আমাদের কার্যক্রমে গতি আসবে।’
বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রভাবশালী নেতাদের বাসায় ওষুধ ছিটাতে ৬০ জনের বিশেষ দলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টা এমন নয়। প্রতি ওয়ার্ডের জন্য ৪ জন করে লোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ৬০ জন সদস্য বিশিষ্ট দলের মাধ্যমে আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী লোক পাঠিয়ে মশা নিধন কার্যক্রমকে গতিশীল করার চেষ্টা করছি। এখানে ভিআইপিদের জন্য আলাদা কিছু করার সুযোগ নেই।’
তবে মশা নিধন নিয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটি ও পরিচ্ছন্নতা বিভাগের দ্বন্দ্বের বিষয় মন্তব্য করতে রাজি হননি এ কর্মকর্তা। যা বললেন বর্জ্য ও মশা নিধন স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে কালো তালিকাভুক্ত থাকা ওষুধ (মেলাটিউন ০.৫) ক্রয় প্রসঙ্গে তিনি একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ওষুধটি এখনও ব্যবহার করছে। সেটি আমরা পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করেছিলাম৷ তবে এটি নিয়ে নানা আপত্তি থাকায় আমরা সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর ব্যবহৃত ওষুধ (ইনভেন্ট লিকুইড ইনসেকটিসাইড) ক্রয়ের জন্য টেন্ডার আহ্বান করেছি।’
নিজের পছন্দের লোককে মশা নিধনের দায়িত্ব দেওয়া প্রসঙ্গে কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, ‘১৯৮৮ সালের অর্গানোগ্রামে মশা নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার (প্রাণীবিদ্যা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী) অধীনে শাখাটি পরিচালিত হওয়ার কথা রয়েছে। নতুন নিয়োগের সুযোগ না থাকায় তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রাণীবিদ্যা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী একজনকে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াই সুপারভাইজারের বেতনে যদি এই কাজ করানো যায়, সেটা অন্যায় হবে বলে আমার মনে হয় না।’
পরিচ্ছন্নতা বিভাগের সাথে দ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘এই দ্বন্দ্ব থাকবেই। স্ট্যান্ডিং কমিটির নীতিনির্ধারণী দায়িত্ব আমরা পালন করবো। আমরা সিদ্ধান্ত নিবো, বাস্তবায়নের জন্য ফোর্সও করবো। প্রয়োজনে কাজ আদায়ে আমরা চাপ দেব। সেক্ষেত্রে অপারেশনাল ওয়ার্কে দায়িত্বরতদের অনিয়ম ধরিয়ে দেওয়া, বকাঝকা করলে সম্পর্কে তিক্ততা আসতেই পারে।’
‘কর্মকর্তা পর্যায়ে কিছুটা জটিলতা আমাদের আছে, বিষয়টা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তার অবর্তমানে উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কর্মকাণ্ড মনিটরিং করছেন, যিনি নিজেও পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা থেকে এই জায়গায় এসেছেন। যার কারণে সহকর্মীদের সাথে তার কিছু দূরত্ব আছে। তাদের দলাদলির কারণে বিভিন্ন বিষয় ভিন্নভাবে উপস্থিত হচ্ছে। এ ধরণের বিতর্ক থেকে বেরিয়ে এসে কাজ করার জন্য আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করছি।’ বলেন চসিকের বর্জ্য ও মশা নিধন স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী।
এসব বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করলেও সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী কল রিসিভ করেননি; এক পর্যায়ে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।