রাজা দেবাশীষ রায়কে অপসারণ করে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের দাবি

শংকর চৌধুরী,খাগড়াছড়ি : পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বাধীনতাবিরোধী চাকমা রাজাকার ত্রিদিব রায়ের নামে নির্মিত সকল স্থাপনার নাম ৯০ দিনের মধ্যে পরিবর্তনের হাইকোর্টের আদেশের পর এবার তারই সন্তান রাজা দেবাশীষ রায়ের অপসারণ ও সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের একাংশ।

বুধবার জেলা শহরের শাপলা চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

গত ২২ মে হাইকের্টের এক আদেশের আলোকে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বাধীনতাবিরোধী চাকমা রাজাকার ত্রিদিব রায়ের নামে নির্মিত সকল স্থাপনার নাম দ্রুত পরিবর্তনের নির্দেশ দেওয়া হয় জানিয়ে নেতৃবৃন্দরা ত্রিদিব রায়কে স্বাধীনতাবিরোধী অভিযোগ এনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ লোকমান হোসাইনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মজিদ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামে এই রাজাকার ত্রিদিব রায় পাকহানাদার বাহিনীর সাথে হাত মিলিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের (খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবন) অসহায় মানুষের উপর হত্যাযজ্ঞ, লুটপাট, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ পরিচালনা করেছেন। সারাদেশে বর্তমান সরকারের মানবতাবিরোধীদের বিচার করলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের অনেক রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

অবিলম্বে এই মানবতাবিরোধী রাজাকার ত্রিদিব রায়ের মরণোত্তর বিচার ও হাইকোর্টের আদেশ দ্রুত কার্যকর এবং তার ছেলে রাজা দেবাশীষ রায়ের নামে সকল সম্পত্তি ও সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা বাতিল করার দাবী জানান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন, নজরুল ইসলাম মাসুদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদ উল্লাহ আসাদ, মাটিরাঙ্গা উপজেলা সভাপতি রবিউল হোসেন, কলেজ সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন কায়েস প্রমুখ।

গণতান্ত্রিক দেশে রাজতন্ত্রের নামে এই সকল সার্কেল চীফ রাজাপ্রথা বাতিল ও অসহায় মানুষের ভূমি থেকে খাজনা নাম করে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান বক্তারা।