এসআই সোহেল কামাল গোপালগঞ্জের, কেয়ার করেন না ওসি এসপি ডিআইজি ! (অডিওসহ)

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পটিয়া থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) মো. সোহেল কামাল আওয়ামী লীগ নেতা, ওসি, এসপি, ডিআইজি- কাউকেই চান্স দেন না, তোয়াক্কা করেন না। তিনি নাকি গোপালগঞ্জের মানুষ। ছাত্রলীগ করেই পুলিশে চাকরি নিয়েছেন। অন্তত আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন তার কোনো ভয় নেই।

তার এমন দম্ভোক্তিপূর্ণ একটি ফোনালাপের অডিও সম্প্রতি একুশে পত্রিকার হাতে এসেছে। ৩ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের ওই অডিওতে এক মহিলার সঙ্গে একটি সালিশী বৈঠক নিয়ে কথা বলার সময় পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ‘থোরাই কেয়ার’ করার পাশাপাশি কথায় কথায় শক্তিমত্তা প্রকাশ করতে দেখা যায় এসআই সোহেল কামালকে।

অবৈধভাবে অর্থগ্রহণের প্রমাণ বা রেকর্ডিং থাকলেও তিনি কোনো টেনশন করেন না, বরং তিনি নিজেই ২-৪ জন পুলিশকে পোস্টিং করান বলেও দাবি করেন সেই ফোনালাপে।

এসআই সোহেল কামাল ও মহিলার ফোনের পুরো আলাপ একুশে পত্রিকার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

: হ্যালো- স্যার আসসালামুআলাইকুম। সোমবারে আমাদের ডেটটা দেন না, বিকেলের দিকে। কালকে তো দিতে চাইলেন, সরকারি বন্ধ কালকে তো হবে না।
: আচ্ছা ঠিক আছে, সোমবার বিকেলে-না!
: সোমবার বিকেলে দেন, আর আপনার ওটার জন্য আমি অনেক চেষ্টা করছি, চেয়ারম্যানের ছেলেকে, ও আমাকে দিচ্ছে না। ও নাকি ওর মামাকে বলে দিছে, মহিউদ্দিন সেলিমকে এই কথাগুলো! মহিউদ্দিন সেলিম নাকি বলছে ওগুলো ওসিকে শোনানোর জন্য। আমি একটা লোক ধরছি, বলছি যে না, স্যারকে শোনাই, স্যার শুনে…
: না না, ওসিকে শোনান, সমস্যা নাই। ওসিকে না, আপনি ২ নম্বর গেইটে যেয়ে এসপিকে শোনাইতে বলেন। ঠিক আছে। ২ নম্বর গেইটে আমাদের এসপি সাহেব বসে না…ওইখানে গিয়ে যেন শোনায়।
: না, না আপনি আমার ভাইয়ের মতো না, আপনাকে ট্রান্সফার দিক এটা আমি চাই না। আপনারও ছেলে-মেয়ে আছে না!
: কী কী! এইগুলো ভাই আমারে দেহাইয়েন না আমারে, ওরে আল্লারে…। আপনি তাইলে জানেন না যে, আমার চাকরি, আমার বাড়ি কই! আমার বাড়ি কই বোধহয় আপনি জানেন না! এইগুলো আমারে বলে লাভ নাই। আমার বাড়ি ওইদিকে…।
: আপনার কথা আমার ভালো লাগছে!
: না না, আপনি শোনেন শোনেন, আমার কথা শোনেন। এইটা নিয়ে আপনার ওই যে চেয়ারম্যানরে বইলেন যে, বাবারে, তোমারে বলছে স্যারে এইটা নিয়ে সে যে জায়গায় পারে যাক। ঠিক আছে? এই নিয়ে টেনশন নাই। যদি আপনার কাছ থেকে টাকা নিয়াও থাকি তারপরও আমার টেনশন নাই। ঠিক আছে?
: কথা শোনেন না আপনি…আমার কথা…
: আমার বাড়িটা কই, এটা সবাই জানে। এইগুলা বলে আমারে কোনো লাভ নাই। আপনি আমারে বলতেছেন যে, আমার পোস্টিং…এইগুলোর তোয়াক্কা আমি করি না। আমার বাড়ি গোপালগঞ্জ। এগুলো নিয়ে আমি টেনশন করি না। ঠিক আছে? আমি পটিয়া চাকরি করি, পটিয়ার যেমন-তেমন নেতারেও আমি চান্স দিই না। জাস্ট শুনে নেন, খবর নিয়েন। সোহেল স্যার নতুন আইছে, যেমন-তেমন নেতারেও আমি চান্স দিই না।
: আমার কথা শোনেন, আমার কথা শোনেন। সোমবারে বিকেলে ডেটটা দিয়েন। আর…
: এটা আমি দিলাম, কিন্তু আপনার ওই মোবাইলের রেকর্ডিং নিয়ে আসা লাগবে।
: নিব তো এইটা।
: ঠিক আছে ওইটা নিয়ে আসেন।
: এটা আপনাকে আমি যখন যাবো…ওদের আগে চলে যাবো।
: সমস্যা নাই, আপনি দুই ঘণ্টা আগে আইসা, চেম্বারে ওই চেয়ারম্যানের ছেলেরে নিয়ে আইসেন। আমি একটু শুনতে চাচ্ছি।
: আবার…
: এই শোনেন, আর আমারে ওইগুলা, এইসব ভয় দেখাইয়েন না! মহিউদ্দিন সেলিম, নূরে আলম মিনা… শোনেন আপনি মহিউদ্দিন সেলিম, নূরে আলম মিনা, ডিআইজি শফিক এইগুলো ভয় দেখাইয়া লাভ নাই। ছাত্রলীগের রাজনীতি কইরা আসি, বাড়ি গোপালগঞ্জ। ঠিক আছে? আমি আরও ২-৪টা পোস্টিং করাই।
: আমার কথাটা বিশ্বাস করলেন না আপনি। বিকেলে কথা বলছেন যে, আমার ভালো লাগছে। আর ওই যে…
: না না না, সেটা না, আপনার কথা আমার ভালো লাগছে এটাও ঠিক আছে। আপনি ওই যে কথা কইলেন যে, না, আমি চাচ্ছি না যে পোস্টিং-মোস্টিং হোক, এইগুলোর ভয় আমরা করি না।
: না না আপনাকে আমি…
: অন্তত আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় আছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে গেলে তারপর বলা যাবে…
: না না আপনি আমার কথা শোনেন না আমি…আপনার কথা…
: আপনার রেকর্ডিংটা, যে ছেলেটা আপনাকে দিছে না, ওরে একটু মিথ্যা-টিথ্যা বইলা একটু নিয়ে আইসেন।
: ও যাবে তো!
: জাস্ট ওরে নিয়ে আইসেন, তাইলেই হবে।
: আচ্ছা, আচ্ছা।

দুইজনের এই ফোনালাপের সূত্র ধরে একুশে পত্রিকার সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে উঠে আসে এর নেপথ্যকথা, এসআই সোহেল কামালের অতি উৎসাহের কারণ।

জানা যায়, পটিয়া থানার বড়লিয়া ইউনিয়নের মৌলভী হাট সংলগ্ন একটি মূল্যবান জমি স্থানীয় অধিবাসী হাজী আব্দুস সাত্তার জীবিত অবস্থায় তার ৯ ছেলের প্রত্যেককে ২ গন্ডা করে মৌখিকভাবে বণ্টন করে দেন।

গত ২১ বছর ধরে পৈত্রিকভাবে প্রাপ্ত জায়গা প্রয়াত আব্দুস সাত্তারের সন্তানেরা যে যার মতো করে ভোগদখল করে আসছেন। কিছুদিন আগে ভাইপাস সার্জারি ও স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন মোতাহের হোসেন। এই সুযোগে তার অংশটি নামমাত্র মূল্যে কিনে নেয়ার আগ্রহ দেখান তারই ছোটভাই সৌদি আরব প্রবাসী দিদারুল আলম বাবুল। কিন্তু মোতাহের হোসেন জায়গাটি বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানান। কিছুদিন পর নিজের জমিতে সীমানা প্রাচীর দিতে গেলে হঠাৎ বাধ সাধেন পটিয়া থানার এসআই সোহেল কামাল।

গত ১৭ মার্চ সন্ধ্যায় একদল পুলিশ নিয়ে তিনি হাজির হন যেখানে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ হচ্ছে সেখানে। এসময় রুদ্রমূর্তি ধারণ করে তিনি বলেন, এখানে কোনো সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা যাবে না। এরপর কিছু নির্মাণসামগ্রী পুলিশ ভ্যানে তুলে নিয়ে যান।

এরপর থেকে সীমানা নির্মাণের চেষ্টা করলে ‘পরিণতি’ ভালো হবে না বলেও শাসিয়ে যান এসআই। এসময় জমির মালিক মোতাহের হোসেনের স্ত্রী রাজিয়া বেগম জমির ব্যাপারে কারো কোনো অভিযোগ কিংবা আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা জানতে চাইলে এসআই সোহেল কামাল জানান, এসবের কিছু প্রয়োজন নেই। আমি বলছি এটাই যথেষ্ট।

কয়েকদিন পর এসআই সোহেল প্রাচীর নির্মাণকারী অসুস্থ, শয্যাশায়ী মোতাহের হোসেনের স্ত্রী রাজিয়া বেগম ও সৌদি প্রবাসী দিদারুল আলম বাবুলের স্ত্রী সুফিয়া বেগমের কাছে নোটিশ পাঠিয়ে তাদের থানায় হাজির হতে বলেন। নোটিশ হাতে পেয়ে এবং তাতে বাদী হিসেবে সুফিয়া বেগমের নাম দেখে রাজিয়া বেগম বুঝতে পারেন বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক তার দেবর বাবুলই এর হোতা, যিনি বিদেশে বসেই কলকাঠি নাড়ছেন।

সৌদি আরব প্রবাসী বাবুলের কাছে ফোন করে এ বিষয়ে জানতে চান রাজিয়া বেগম। বাবুল জানান, জায়গাটি তার কাছে বিক্রি করতে হবে। নইলে পুলিশ দিয়ে সব গুড়িয়ে দেবেন। এসময় বাবুল এসআই সোহেলকে অর্থ দিয়ে কিনে ফেলেছেন বলেও দাবি করেন।

এরপর ফোন করলে রাজিয়া বেগমকে এসআই সোহেল থানায় গিয়ে যোগাযোগ করতে বলেন এবং একটা ‘কায়দাকানুন’ করে কাজ শুরু করতে পারবে বলেও আশ্বস্ত করেন, যা অপর আরেকটি ফোনালাপের রেকর্ড থেকে জানা যায়। পরদিন থানায় যাওয়ার পর এসআই সোহেল কাজ শুরু করার জন্য মোটা অংকের টাকা দাবি করলে রাজিয়া বেগম অক্ষমতা জানিয়ে থানা থেকে বেরিয়ে আসেন।

এদিকে বৃষ্টিতে নির্মাণসামগ্রীর পরিত্যক্ত কাঁচামাল প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে, কাজের মজুরি বাবত শ্রমিকরা অগ্রিম ২৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছেন। সবমিলিয়ে সমূহ ক্ষতির আশঙ্কায় রাজিয়া বেগম বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য এসআই সোহেলের কাছে বার বার ধর্না দেন।

গত ২৫ মার্চ রাজিয়া বেগম এসআই সোহেল কামালের কাছে ফোন করে বৈঠকের দিন-তারিখ জানতে চাইলে একপর্যায়ে সৌদি প্রবাসী দিদারুল আলম বাবুল তাকে অর্থ ও মোবাইল সেট প্রদানের কল রেকর্ডিংয়ের বিষয়টি উঠে আসে। আর তখনই এসআই সোহেল কামাল ওসি, এসপি ও সদ্য বদিল হওয়া ডিআইজি শফিকুল ইসলামের নাম ধরে দম্ভোক্তি ও ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেন তিনি কতটা শক্তিধর!

রাজিয়া বেগম একুশে পত্রিকাকে বলেন, আমার স্বামী গুরুতর অসুস্থ। এই অবস্থায় আমাকে প্রতিদিন থানার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতে হচ্ছে। এসআই সোহেল কামাল অন্যায়ভাবে নিজের জমিতে আমাদের কাজ করতে দিচ্ছেন না। তিনি আমাদের নানাধরনের হুমকি দিচ্ছেন, গোপালগঞ্জের মানুষ বলে শাসাচ্ছেন। কার কাছে গেলে আমরা এর প্রতিকার পাবো-প্রতিবেদকের কাছে জানতে চান তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পটিয়া থানার এসআই মো. সোহেল কামাল একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার কাছে তো এ ধরনের কোনো অভিযোগ নেই। আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না।’

পরক্ষণে আবার বলেন, ‘ওনাদের ভাইদের জমি নিয়ে সমস্যা আছে। বিরোধপূর্ণ সম্পত্তিতে কাজ করার অনুমতি তো আমি দিতে পারবো না। আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আছেন, তাদের সাথে কথা বলতে পারেন। বাবুল প্রথমে অভিযোগ করেছে। পরে বিবাদি ওই নারী একটা অভিযোগ করেছে।’

এসব ঘটনায় থানায় মামলা বা জিডি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা অভিযোগ। আপনার বেশি কিছু জানার থাকলে থানায় আসেন, সামনা-সামনি কথা বলবো। আপনার জন্য আমি আছি থানায়।’

ওসি, এসপি, ডিআইজি কাউকেই পাত্তা দেন না, তোয়াক্কা করেন না- ভুক্তভোগী নারীকে এসব বলেছেন কিনা- জানতে চাইলে পটিয়া থানার এসআই মো. সোহেল কামাল বলেন, ‘এটা তো অপ্রাসঙ্গিক কথা। এ ব্যাপারে আপনার সাথে আমি কথা বলবো না। আপনার সমস্যা কী সেটা বলেন, সেটা নিয়ে থানায় আসেন। আমার কথায় সন্তুষ্ট না হলে, আমার ওসি স্যার আছে, ওসি স্যারের কথায় সন্তুষ্ট না হলে সার্কেল স্যার আছেন। কথা বলেন, সমস্যা নেই।’

মুঠোফোনের রেকর্ড করা কথাগুলো আপনি বলেছেন, ‍নাকি এটা মিথ্যা অভিযোগ- এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি অভিযোগ দিয়ে থাকে, আপনি যাচাই-বাছাই করেন। সমস্যা কী।’

মুঠোফোনে কথাগুলো শেষ হওয়ার ৫ মিনিট পর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ফের প্রতিবেদকের মুঠোফোনে ফোন করেন এসআই সোহেল কামাল; তিনি বলেন, ‘আপনার (প্রতিবেদক) নাম-পরিচয়টা আবার বলবেন আমাকে? আপনার বাসা কোথায়?’

তখন এ প্রতিবেদক জানতে চান, ‘বাসার ঠিকানা দিয়ে আপনি কী করবেন? মামলা দেবেন নাকি?’

এরপর কিছুক্ষণ চুপ থেকে এসআই সোহেল কামাল বলেন, ‘আমার ওসি স্যারের সাথে এইমাত্র কথা বললাম। স্যার বললেন, ওই সাংবাদিককে থানায় আসতে বল। আপনার সাথে কথা বলে মনে হচ্ছে, আপনার সাথে আমার শত্রুতার সম্পর্ক। ব্যাপারটা তা না। আপনারা মিডিয়া, আমরা পুলিশ। পাশাপাশি সম্পর্ক রেখে আমরা কাজ করি।’

এসআই সোহেলের ধৃষ্টতাপূর্ণ ফোনালাপ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের নবাগত ডিআইজি এসএম মনির-উজ-জামান বলেন, এধরনের টেলিফোন কথোপকথনের যদি সামান্যতম সঠিকতা থাকে তাহলে পুলিশ বিভাগে তার চাকরি করার ন্যূনতম কোনো যোগ্যতা নেই। ফোনালাপটি তার ইমেইলে পাঠাতে প্রতিবেদকের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এটি শোনার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফোন ব্যাক করেন ডিআইজি এসএম মনির-উজ-জামান। তিনি বলেন, এর মধ্যে ওই এসআইয়ের ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছি। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ নয়। সে যদি বলে থাকে তাহলে মিথ্যা বলেছে। হি ইজ ম্যান অফ খুলনা। তিনি বলেন, আমার বাড়িও গোপালগঞ্জ। গোপালগঞ্জের নাম ব্যবহার করে কেউ যখন এধরনের আচরণ করে তখন দুঃখ লাগে, কষ্ট হয়। এ ব্যাপারে আবারো যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দিনভর চেষ্টা করেও চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কখনো তিনি ফোন ধরা থেকে বিরত থাকেন, কখনো ফোনের লাইন কেটে দেন, আবার কখনো এসএমএস পাঠিয়ে জানান, তিনি মিটিংয়ে আছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নিজ থেকেই ফোন করে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নেয়ামত উল্লাহ একুশে পত্রিকার কাছে এ বিষয়ে জানতে চান। পুরো ঘটনা শুনে তিনি বলেন, ‘ভাই মনে কষ্ট পেলাম ডিআইজি স্যারকে না জানিয়ে আপনি আমাকে জানাতে পারতেন।’ এরপর বলেন, ‘ঘটনা যদি সত্য হয় তাহলে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে এসআই সোহেল কামালের চাকরি চলে যেতে পারে।’

ফোনালাপটি শুনতে ক্লিক করুন :