তসলিমা নাসরিনকে এবার বুড়োদের সঙ্গে শুইয়ে দিয়েছে ওরা!

একুশে প্রতিবেদক

taslima-2ঢাকা: কল্পকাহিনী, আজগুবি সব কথামালায় সাঁজানো একটি সাক্ষাৎকার তসলিমা নাসরিনের বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এজন্য ক্ষেপেছেন তসলিমা নাসরিন। তার এই ক্ষোভ নাম-সর্বস্ব, চটকদার কিছু অনলাইন পোর্টালের প্রতি, যারা নিজে নিজে এই সাক্ষাৎকারের রচয়িতা।

বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে এ নিয়ে দেয়া এক স্ট্যাটাসে যুগপৎ নিন্দা, ঘৃণা প্রকাশ করতেও দেখা যায় তসলিমাকে। শুধু তাই নয়, তসলিমা ভক্তরাও এ ঘটনায় নিন্দা-প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফেসবুকে।

আলোচিত ওই স্ট্যাটাসে তসলিমা নাসরিন লিখেন- ‘নিউজ পোর্টালের নামে কিছু আবর্জনা ছড়িয়েছে অনলাইনে। এই আবর্জনাগুলো তসলিমা-বিদ্বেষীতে গিজগিজ করছে। প্রায়ই আমার সম্পর্কে আজগুবি আর মিথ্যে খবর লিখে অনলাইনে ছড়িয়ে দেয় ওরা। ভাইরাসের মতো ওগুলো নিমেষে চলে যায় এক পোর্টাল থেকে আরেক পোর্টালে। আক্রান্ত করতে থাকে সামনে পেছনে ডানে বামে যে আছে তাকেই। আজ দেখলাম ‘বুড়োদের সঙ্গে আমি শারীরিক সম্পর্ক করি’, ‘মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে সব ছেড়ে নামাজ রোজা করি’ – এরকম সব শিরোনাম দিয়ে আমার নামে অতি নিকৃষ্ট একটি সাক্ষাৎকার ছাপানো হয়েছে। শুনলে বমির উদ্রেক হয়, এমন সব নোংরা কথা পুরো লেখাটিতে ছড়ানো। আমার সাক্ষাৎকার, যে সাক্ষাৎকার আমি দিইনি। যে সাক্ষাৎকার তসলিমা বিদ্বেষীরা রচনা করেছে, মানুষের মধ্যে তসলিমা বিদ্বেষ তৈরি করার উদ্দেশে। এসব নতুন নয় আমার জীবনে। ৩০ বছর ভুগছি।’

taslima-1এই স্ট্যাটাস দেওয়ার পর কিছুক্ষণের মধ্যে এক হাজারেরও বেশী লাইক, অসংখ্য কমেন্টে ভরে উঠে তসলিমার ফেসবুক ওয়াল। অসংখ্যবার শেয়ারও হয় স্ট্যাটাসটি। তসলিমা নাসরিনের জন্য সহানুভূতি, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা প্রকাশ করতে দেখা যায় প্রায় কমেন্টে।

মাহতাব ঘোষ নামের একজন তার স্ট্যাটাসের কমেন্টে লিখেছেন- ‘কাল একজন ওই নোংরা সাক্ষাৎকারটা ইনবক্সে পাঠিয়ে জানতে চেয়েছে বিষয়টি সত্যি কি না.. আপনার সাথে কথা না বলে, আপনার পোস্ট না পড়ে আমি উত্তর দিয়েছিলাম, এটা শুধু আমার বক্তব্য নয় আমার মত হাজার হাজার মানুষের যারা কিছুটা হলেও আপনাকে পড়েছে, আপনাকে জেনেছে। এগুলো পোর্টাল সোর্টাল এখন আর কায়দা করতে পারবে না। ২০০৮ নয় এটা ২০১৬। ভুল সাক্ষাৎকার বের করে বোকাচোদা প্রিন্ট মিডিয়া গোষ্ঠী সেদিন আপনাকে দ্বিতীয়বার দেশ ছাড়া করেছিলো। পরে আমরা সত্যিটা জেনেছি। তাই এখন খুব সচেতন আমরা।’

তসলিমার উদ্দেশ্যে আরেকজন লিখেছেন, আপনাকে পুঁজি করে দু’চার পয়সা ওরা কামাই করে খায়। এসব না লিখলে ওরা খাবে কিভাবে?