কোনো চক্রান্তই সফল হবে না : নাছির

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে তিক্ততা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এবিএম মহিউদ্দিনকে ইঙ্গিত করে চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির বলেছেন, ‘ষড়যন্ত্র, চক্রান্তসহ কোনো বাধাই আমার চলার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না। মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা থাকলে আমার বিরুদ্ধে কোনো চক্রান্তেই সফল হবে না।’

সোমবার সকালে নগরীর ২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ডের গোলপুকুর পাড়ে সপ্তাহব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে, আ জ ম নাছিরকে উদ্দেশ করে এবিএম মহিউদ্দিন বলেছেন, ‘উনি হেসে হেসে মানুষকে গুলি করতে পারেন।’

সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের লালদিঘীতে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, নগরবাসীকে দেওয়া প্রতিটি ওয়াদা অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করাই আমার অঙ্গীকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে নানামুখী চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে উন্নয়নের ধারাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল। বিফল হয়ে বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করে উন্নয়নের চাকাকে বাধাগ্রস্ত করা হয়। কিন্তু মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা থাকলে আমার বিরুদ্ধে কোনো চক্রান্তেই সফল হবে না।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর দিকে ইঙ্গিত করে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, কেউ কেউ অন্তরের জ্বালা প্রশমিত করতে নগরবাসীর সামনে হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। বিষয়ে ঘোলা পানিতে মাছশিকারের মতো অন্তর জ্বালা প্রশমিত করার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, যারা নালা-নর্দমা ও ফুটপাত দখল, প্লট বরাদ্দের নামে ধোঁকাবাজি, আয়বর্ধক প্রকল্পের নামে সরকারি সম্পদ অপচয়, নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য অবৈধ দখলসহ ভোগ বিলাসের জন্য বহুমুখী অবৈধ পন্থা অবলম্বন করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ অন্তরের জ্বালা প্রশমিত করার জন্য নগরবাসীর সামনে মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত।

আ জ ম নাছির বলেন, পৌরকর নাগরিকসেবা নিশ্চিত করা একমাত্র উৎস। সরকারের বিধি-বিধান, আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি অনুসরন করে নাগরিকদের কাছ থেকে পৌরকর আদায় করা সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব। মেয়র ও তার পরিষদের পক্ষে পৌরকর ধার্য করা বা বৃদ্ধি করার কোনো এখতিয়ার নেই। উত্তরাধিকার সূত্রে ১৯৮৫ সাল থেকে পৌরকর ধার্য রয়েছে। সে হারে চসিক বর্তমানে কর পুনর্মূল্যায়ন করছে মাত্র। এ বিষয়ে ঘোলা পানিতে মাছশিকারের মতো অন্তর জ্বালা প্রশমিত করার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, অতীতে অনেক দুঃসময় ও প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে জনগণের রায় নিয়ে ইমানি দায়িত্ব হিসেবে সততার সাথে সেবা করার মানসিকতায় দায়িত্ব পালন করছি। এক্ষেত্রে কোনো অপশক্তি সফল হবে না। তিন অর্থবছরের মধ্যে নাগরিকসেবা শতভাগ নিশ্চিত করা হবে। উন্নয়ন, আলোকায়ন ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করে চট্টগ্রামকে বিশ্বমানের নগরীতে উন্নীত করা হবে।

বৈশাখী মেলা উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান কাজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসএম এরশাদুল্লাহ, হালিশহর থানার ওসি মাহফুজুর রহমান। বক্তব্য রাখেন, নিয়াজ মোহাম্মদ আজাদ, আবদুল লতিফ, সুমন দেবনাথ, শাহাবু উদ্দিন চৌধুরী, মেলা কমিটির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, সদস্যসচিব আবদুল আহাদ প্রমুখ