আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শেষ পাতে অবশ্যই রাজভোগ। কিন্তু তার আগে প্রথমদিনেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পাতে রকমারি মাছের পাশাপাশি ভেটকির পাতুরি, চিংড়ির মালাইকারি, চিতল পেটির মুইঠ্যা, মুর্গ দরবারি, গোস্ত ইয়াখনি, রাইজিনা কোফতা, আলু বুখারার মতো উত্তর ভারতের বিশেষ আইটেমগুলো তুলে তুলে দিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনের ৩২ রাধুঁনি গত তিন ধরে ব্যস্ত সময় পার করেছেন।
এরাই আগামী ৩ দিন শেখ হাসিনার অাপ্যায়নের দায়িত্বে থাকবেন। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম সারির শেফদের সঙ্গেও প্রাথমিক আলোচনা সেরেছে ‘ফ্যামিলি কিচেন’-এর রাধুঁনিরা।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে শেখ হাসিনার পছন্দের খাবারের কথা জেনে নিয়েছেন তারা। তাঁর পাতে ইলিশ তুলে দিতে অনেক চেষ্টা করেও সফল হওয়া যায়নি। যদিও শেখ হাসিনা যাওয়ার সময় ৩০ কেজি ইলিশ বাংলাদেশ থেকে নিয়ে গেছেন।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার এক খবরে বলা হয়েছে, চৈত্রের শেষ দিক হওয়াতে বাজারে বড় মাপের ইলিশের মন্দা আছে। অর বড় মাছ থাকলেও তা অনেক দিন ফ্রিজে থাকায় স্বাদ কমে গেছে। তাই বিস্বাদের ইলিশ দিয়ে শেখ হাসিনাকে আপ্যায়নের ঝুঁকিতে যাচ্ছে না রাষ্ট্রপতি ভবনের রাঁধুনিরা।
ভবনের ‘ফ্যামিলি কিচেন’এ শুধু রাষ্ট্রপতি ও তাঁর নিকটাত্মীয়দের রান্না হয়। শেখ হাসিনার আগমন ঘিরে সেই রান্নাঘরের চেহারাই পাল্টে গেছে। মোট ছ’টি ভাগ রাষ্ট্রপতির হেঁশেলে। ব্যাঙ্কোয়েট কিচেন, আ লা কার্তে, আভেন অ্যান্ড স্টিমার্স, স্টোর, ট্রেনিং এবং আর অ্যান্ড ডি।
মোট তিন দিন রাষ্ট্রপতির আতিথ্যে কাটাবেন শেখ হাসিনা। বাইরেও (হায়দরাবাদ হাউস, বাংলাদেশ হাই কমিশন ইত্যাদি) মধ্যাহ্নভোজ এবং নৈশভোজের কথা রয়েছে তাঁর। তাই বিভিন্ন পদ খাওয়ানোর সুযোগ কম। তবুও তার মধ্যেই চেষ্টার ত্রুটি করছেন না রাষ্ট্রপতি ভবনের শেফরা।
শুক্রবার নয়াদিল্লী পৌঁছার পর নরেন্দ্রমোদীর উষ্ণ অভ্যর্থনা শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উঠেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে। বিদেশি কোনো নেতার জন্য এটি একটি বিরল সম্মানের। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর আমন্ত্রণেই সেখানে থাকছেন শেখ হাসিনা।