বান্দরবান: বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় খাদ্য সঙ্কট চলছে। গত বছরের খারাপ আবহাওয়ায় জুমের ভাল ফলন না হওয়ায় চলতি বছরের মার্চ থেকেই খাদ্য সঙ্কটে পড়েছে দূর্গম এলাকার অধিবাসীরা। জোংলি আলু, মিষ্টি কুমড়া আর কলা খেয়ে জীবন ধারণ করছেন তারা।
কষ্টের কথা জানাতে গিয়ে বান্দরবান জেলার খাদ্যসঙ্কট কবলিত উপজেলা থানচির বড়মদক এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধ ক্যমং উ মারমা বলেন, ঘরে খাওয়ার চাল নেই। স্ত্রী মাম্যাচিং জঙ্গলে গিয়ে পাহাড়ি আলু সংগ্রহ করেছে। সেগুলো খেয়ে কোনো রকম প্রাণে বেঁচে আছি।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, থানচি উপজেলার রেমাক্রি, বড়মদকের ভেতর পাড়া, হৈয়োক খুমী পাড়া, সাঙ্গু রিজার্ভ ফরেস্ট, তিন্দু ইউনিয়নের দূর্গম যোগীচন্দ্র পাড়া ও ছোট মদক এলাকায় চরম খাদ্যসঙ্কট দেখা দিয়েছে।
তারা আরো জানান, গত বছর পাহাড়ে জুম চাষ ভালো হয়নি। যেটুকু জুম পেয়েছে তা দুই থেকে তিন মাসেই শেষ হয়ে গেছে। ফলে সারাদিন আলু আর কলা খেয়ে দিন পার করতে হচ্ছে উপজেলার প্রায় আড়াই হাজার পরিবারকে।
রেমাক্রি ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মুই সৈ থুই মারমা রনি জানান, রেমাক্রী ইউনিয়নে ৯৫ শতাংশ মানুষই জুম চাষের ওপর নির্ভরশীল। গত বছর জুম ভালো না হওয়ায় খাদ্য সঙ্কটে পড়েছে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পরিবার।
তিন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মংপ্রু অং মারমা জানান, দূর্গম অঞ্চলে দ্রুত খাদ্য না পৌঁছালে মানুষ না খেয়ে মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ২নং তিন্দু ইউনিয়নে সাতশত পরিবার চরম খাদ্য সঙ্কটে রয়েছে।
জেলা প্রাশসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জরুরিভাবে দূর্গত এলাকায় ৮শ পরিবারকে ২০ কেজি করে মোট ১৬ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তা চাহিদার তুলনায় কম বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানান, দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় খাদ্য সঙ্কট চলছে। দূর্গত এলাকায় জরুরি খাদ্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।