সুনামগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় প্রাইভেট বাণিজ্যে পিছিয়ে নেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক স্কুলশিক্ষকরা।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রাইভেট বাজার ঠিক রাখতে শিক্ষকরা নানান ভাবে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করেন। আর শিক্ষার্থীরাও কিছুটা ভাল ফলাফলের আশায় বাধ্য হয়ে প্রাইভেট পড়ে।
নাম না প্রকাশের শর্তে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার একজন সরকারি কর্মকর্তা জানান, সরকারি চাকরি করে এ ধরনের কোনো শিক্ষক নিয়ম অনুযায়ী কোচিং বা প্রাইভেটের সাথে জড়িত থাকতে পারেন না। তবে আমরা অভিভাবকরা লক্ষ্য করছি সেই নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে শক্তিয়ারখলা উচ্চ দ্যিালয়েরর সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম (বিজ্ঞান) প্রাইভেট পড়িয়ে মাসে কয়েক লাখ টাকা আয় করছে। সরকারের পক্ষ থেকে কয়েক দফা আইন করে এবং কয়েক দফা কড়া সতর্ক করেও বন্ধ করা যাচ্ছে না প্রাইভেট বাণিজ্য। বরং দ্রব্যমূল্যের মত বাড়ছে প্রাইভেট ফি। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যেসব শিক্ষক কোচিং বা প্রাইভেট বাণিজ্যের সাথে জড়িত থাকবে তাদের এমপিও বন্ধ করার কড়া সতর্কতা জারী করে পরিপত্রও জারি করেছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সরোয়ার আলম গত ১৫ মার্চ সকাল ৮ টায় প্রাইভেট পড়ানো অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলমকে হাতে নাতে ধরেন। এ বিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সরোয়ার আলম বলেন, গত ১৫ মার্চ সকাল ৮ টায় প্রাইভেট পড়ানো অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলমকে পেয়েছি। পরে শক্তিয়ারখলা উচ্চ দ্যিালয়ের প্রধান শিক্ষকও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কাছে চিঠি দিয়েছি তারা যেন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে শক্তিয়ারখলা উচ্চ দ্যিালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানুর আলম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, জাহাঙ্গীর আলম প্রাইভেট পড়ানোর কথা আমি পূর্বে অবগত ছিলাম না। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সরোয়ার আলম স্যারের চিঠির মাধ্যমে জানতে পেরেছি । বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। পরিচালনা কমিটি ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া নেব।