রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

চট্টগ্রামের ৯টি স্পটে সরকার-পতন আন্দোলনের ছক!

প্রকাশিতঃ ৭ মার্চ ২০১৭ | ১:৫৩ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরীর ৯টি গুরুত্বপূর্ণ স্পটে সরকার-পতন আন্দোলনের ছক তৈরি করেছে চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয়তাবাদী সাইবার দলের সহ সাধারণ সম্পাদক ও আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি পরিষদের সদস্য এন মোহাম্মদ রিমন। আগামীতে সরকার পতন আন্দোলনের জন্য এই ছক তৈরি করে গত বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) তিনি এ সংক্রান্ত ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।

তাতে সরকার পতন অান্দোলনের জন্য চট্টগ্রামকে বিভিন্ন জোনে ভাগ করে একই সময় ঐ সমস্ত জায়গায় জমায়েতের ডাক দেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি মনে করেন, শুধু নাসিমন ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে মিছিল-মিটিং বা পিকেটিং করলে হবে না, এতে সমগ্র চট্টগ্রামের প্রশাসন এক জায়গায় চলে অাসে এবং রাজপথ থেকে সবাইকে হটিয়ে দেয়। বিভিন্ন সিনিয়র নেতা বিভিন্ন পয়েন্টের দায়িত্বে থাকতে পারেন।

স্ট্যাটাসে তিনি সরকার-পতন আন্দোলন ফলপ্রসূ হওয়ার জন্য নগরীর ৯টি স্পটের কথা উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হলো- নতুন ব্রীজ, সিটি গেইট, জিইসি মোড়, অাগ্রাবাদ মোড়, ফ্রি পোর্ট, নিউমার্কেট, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, অক্সিজেন মোড়, বহদ্দারহাট মোড়।

তবে স্ট্যাটাসে তিনি ধ্বংসাত্মক কিংবা সহিংসতার পরিবর্তে জনগণের অংশগ্রহণমূলক আন্দোলনের কথা উল্লেখ করেছেন। এছাড়া প্রশাসনকে ক্ষিপ্ত না করে সহানুভূতি অাদায়ের মাধ্যমে আন্দোলন হলে তা অধিক ফলপ্রসূ হবে বলে মনে করেন এন মোহাম্মদ রিমন।

এদিকে তার এ স্ট্যাটাসটিকে সাধুবাদ ও সমর্থন জানিয়ে অনেকেই লাইক দিয়েছেন, কমেন্ট করেছেন।

ওসমান গনি সিকদার নামে একজন সহমত জানিয়ে বলেছেন, ‘এরপরও যদি রাস্তায় অবস্থান করা না যায়, তার জন্য ভিন্ন কৌশলও মাথায় রাখতে হবে।’

ওসমান গনি নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘সবাই একসাথে রাজপথে নামলে কেউ ঠেকাতে পারবে না।’

এম ফজলুল করিমের কমেন্ট- ‘এভাবে না হলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব নয়।’

মো. কপিল চৌধুরী নামের একজন স্ট্যাটাসদাতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‌’ভাই আমরা নতুন ব্রিজ ব্লক করতে পারলে হবে?’

সুজন আলী খান নামের একজন কমেন্ট করেন, ‌‌’ভাই এরকম পরিকল্পনা যদি দলের হাই কমান্ড করতো, তাহলে অনেক আগে হাসিনা সরকারের পতন হতো, আফসোস আমাদের- এতো সমর্থন থাকা সত্ত্বেও আমরা কিছু করতে পারলাম না।

কারো কারো কমেন্টে আছে হতাশার সুরও। মারুফ হোসেন লিখেন, ‌’কে শুনে কার কথা, ২০ দল আগামীতেও ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নাই। যা করছে তা দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য করছে, আমার মনে হচ্ছে এমন।’

ড্রিমবয় রাশেদ নামের একজন ক্ষোভ জানিয়ে লিখেন, ‌’চুরি পরে ঘরে বসে থাকেন, তারপর দল ক্ষমতায় আসবে!’

গালিব হাসান নামের একজন বলেন, `ভালো লিখেছেন। কিন্তু কার্যক্রমের ফল আন্ডা। কারণ আমাদের বিএনপি নেতারা ব্যস্ত কখন কমিটি ভাঙবে এই সংবাদ নিয়ে। যদি কমিটি নিয়ে আন্দোলন করার জন্য এই রূপরেখা দেন তাহলে পদলোভী নেতারা এই রূপরেখা অবশ্যই বাস্তবায়ন করবে।’

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৩ সালে এসএসসি পাশ করা এন মোহাম্মদ রিমন বর্তমানে চট্টগ্রামের হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজে ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স শেষবর্ষের শিক্ষার্থী। নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনকে তিনি রাজনৈতিক অভিভাবক ও আদর্শিক নেতা মানেন, যা তার বিভিন্ন ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে জানা যায়। নানা প্রণোদনামূলক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সরকারবিরোধী জনমত গঠনেও দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় আছেন রিমন।