ঢাকা: সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, বৌদ্ধ ভিক্ষু, শিক্ষক-ব্লগারসহ বিদেশি হত্যার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
রোববার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, রংপুরে জাপানের নাগরিক কুনিও হত্যার সঙ্গে যে মৎস্যজীবী দলের নেতা জড়িত, গুলশানে ইতালির নাগরিক হত্যার সঙ্গে বিএনপির কমিশনার জড়িত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হত্যার সঙ্গে যুবদল নেতা যুক্ত—যা তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। যেসব জঙ্গিগোষ্ঠী এসব হত্যাকাণ্ডের পরে দায় স্বীকার করে নেয়, তাদের আশ্রয় দিয়েছেন খালেদা জিয়া। প্রকৃতপক্ষে গত নির্বাচনে না এসে খালেদা জিয়া জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে বীর বাঙালি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সব ধর্মের মানুষের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।’ তিনি অভিযোগ করেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিলেন মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মবেশে একজন পাকিস্তানি গুপ্তচর, যা পরে বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবং জিয়াউর রহমানকে লেখা পাকিস্তানি জেনারেলের চিঠি ও বিভিন্ন দলিল-দস্তাবেজ থেকে বেরিয়ে আসে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।