শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অনুকরণেই মানবিক যুবলীগের বিকাশ


সৈয়দ মিজানুর রহমান : বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্ব এখন সারাবিশ্বের বিস্ময়। মহামারি করোনা বিপর্যয়েও বিশ্ব অর্থনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের হার বাড়ছে। এ প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশেরও বেশি আশা করছেন অর্থনীতিবিদরা। যেখানে বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতির দেশেও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থাতেও মোট দেশজ উৎপাদনে ভারতের মতো বৃহৎ রাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আয়তনে ছোট দেশের তালিকাভুক্ত হলেও বাংলাদেশ এখন রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশ্বের রোল মডেল।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশে সমৃদ্ধির সূচক বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। আর এর মূলে দেশের যুবকরা এই আমূল পরিবর্তনের গর্বিত অংশীদার। তাছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও বাংলাদেশের যুব সম্প্রদায়ের প্রশংসা করেছেন। যুব সমাজ আগামীর উন্নয়ন সম্ভাবনার উৎস হিসেবে চিহ্নিত করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মানে শেখ ফজলে শামস্ পরশ এবং মাঈনুল হোসেন খান নিখিলের সঠিক নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে মানবিক ও আধুনিক যুব রাজনীতি।

বাংলাদেশের মতো নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়ার ক্ষেত্রে যুব সমাজই হলো কাঙ্ক্ষিত ভরসা স্থল। যুবশক্তির অনুপস্থিতিতে জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি অসম্ভব। দেশের তরুণ যুব সমাজকে বিভ্রান্তির পথ থেকে ফিরিয়ে এনে আদর্শিক মূল্যবোধ সম্পন্ন দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। যুবশক্তির দক্ষতা মননশীলতাকে কাজে লাগাতে হবে। আর দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন তরান্বিত করা আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই যুবলীগ এই দায়িত্ব সচেতনতার সঙ্গে পালন করছে।

রাজনীতিতে অপসংস্কৃতি পরিহার করে সততা, ন্যায়নিষ্ঠা, দেশপ্রেমে আকৃষ্ট হয়ে যুবরাই জাতীয় অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখছে বলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। দেশের আর্থ সামাজিক, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনী চিন্তা-চেতনা সম্পন্ন যুবনেতৃত্ব গঠনে তরুণ যুবরা অধিকাংশে অবদান রাখছে বলে বিশ্লেষকরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। আগামী দিনে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় মেধাবী তরুণ যুবকরা রাজনৈতিক সচেতনতাসহ মানবিক ও জনকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত রেখে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করবে বলেই বিশ্বাস।

সফল রাষ্ট্রপ্রধান শেখ হাসিনা একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানে যুবশক্তি গঠনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। সেই লক্ষেই দুজন দেশপ্রেমিক মেধাবী নেতৃত্বের হাতে উপমহাদেশের বৃহৎ যুবসংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ পরিচালনার দায়িত্ব অর্পিত হয়।

যুবলীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়া শেখ ফজলে শামস্ পরশ একজন শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তিনি যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির সুযোগ্য উত্তরসূরী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বলীয়ান জাতির এই মেধাবী সন্তান দেশসেবায় পিতার অনবদ্য নেতৃত্ব ও চেতনাশক্তির আদলে দক্ষ তরুণ-যুবশক্তি গঠনে দৃঢ়-প্রতিজ্ঞবদ্ধ।

যুবলীগ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের আরেক কাণ্ডারি মাঈনুল হোসেন খান নিখিলও একজন মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন সজ্জন ব্যক্তিত্ব। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অনুকরণে তিনি দেশে দক্ষ ও আধুনিক যুবশক্তি গঠনের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। চৌকস এ মানবিক যুবনেতা দেশব্যাপী জনকল্যাণমুখী ইতিবাচক সংস্করণে যুবলীগকে ঢেলে সাজানোর প্রয়োজন মনে করছেন।

করোনা ছাড়াও বিভিন্ন প্রকৃতিক দুর্যোগ-ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাভাবিক জীবনযাপন বজায় রাখতে যুবলীগের সাহায্য সহায়তা অব্যাহত আছে। আর এর মূলে রয়েছেন এই দুই কাণ্ডারি। তাদের নির্দেশনা ও নেতৃত্বে যুবলীগ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। এ কারণে আওয়ামী যুবলীগ দেশবাসীর আস্থায় প্রশংসিত হয়েছে। আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনার। তিনি নিজেও বিভিন্ন সময় যুবলীগের চলমান কার্যক্রম সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

লেখক : সাবেক সভাপতি, ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ (উত্তর)।