আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন নির্বাচনে সবসময় ভাগ্য নির্ধারক ভূমিকা পালন করে সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান রাজ্যগুলো। নির্বাচনের ৩ দিন বাকি থাকতে সেসব রাজ্যে তাই শেষ মুহুর্তের মরিয়া প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প ও বাইডেন। এ রাজ্যগুলোর ভোট নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখার হিসেবকে মাথায় রেখে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন দুই প্রার্থী।
বিবিসি জানিয়েছে, আইওয়ায় অনেকটা আগ্রাসী ভূমিকা নিয়েছেন জো বাইডেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে এই রাজ্যে ১০ পয়েন্টের ব্যবধানে জয় পেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে মিনেসোটায় প্রচারণা চালাচ্ছেন ট্রাম্প, চার বছর আগে যে রাজ্যে হিলারি ক্লিনটন সামান্য ব্যবধানে জয় পেয়েছিলেন।
এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছিল,শুক্রবার মিশিগান, উইসকনসিন ও মিনিয়েসোটায় শেষ মুহুর্তের প্রচারণা চালায় ট্রাম্প। এদিকে ফ্লোরিডা থেকে উইসকনসিন ও মিনিয়েসোটার সঙ্গে সঙ্গে আইওয়া রাজ্যে সফরে ভোটারদের মন জয়ের কঠোর প্রচেষ্টা পরিকল্পনা বাইডেনের। বলঅ হচ্ছে এবারের নির্বাচনে এসব রাজ্য ব্যাটলগ্রাউন্ড।
ঐতিহ্যগতভাবে মিশিগান ও উইসকনসিন ডেমোক্র্যাটদের ঘাঁটি হলেও ২০১৬ সালের নির্বাচনে এই দুই রাজ্যে সামান্য ব্যবধানে জয় পান রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে ১৯৭২ সালের পর কোনো রিপাবলিকান প্রার্থী মিনিয়েসোটায় জয় পাননি। ট্রাম্প এবার এই ডেমোক্র্যাট ঘাঁটি দখলের চেষ্টা করছেন।
নির্বাচনের মাত্র পাঁচ দিন আগে জাতীয় একটি জরিপের ফল প্রকাশ করেছিল মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। তাতে দেখা গেছে, শেষ মুহূর্তে এসেও দেশব্যাপী জাতীয় জনমত জরিপে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ১২ শতাংশ ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী জো বাইডেন।
কয়েক মাস ধরেই জাতীয় জরিপে এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন। তাই সামগ্রিক চিত্র অবশ্য ট্রাম্পের বিপক্ষেই। বিশেষ করে মহামারি করোনা মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যর্থতার প্রতিফলন ঘটেছে এসব জরিপে। তবে জরিপে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রাজ্যগুলোতে উভয়ের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলছে।
এসব রাজ্যের ভোটাররা যেকোনো প্রার্থীকেই ভোট দিতে পারেন এবং মঙ্গলবারের নির্বাচনের ফলাফল গড়ে দিতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে সাড়ে আট কোটির বেশি ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন। তাদের মধ্যে সাড়ে পাঁচ কোটি ভোটার ডাকযোগে ভোট দিয়েছেন। সব মিলিয়ে গত এক শতকের মধ্যে এবারই যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়তে যাচ্ছে।