চট্টগ্রাম: মঙ্গলবারের সম্মেলন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা লীগের একটি বড় অংশকে কাউন্সিলর ও ডেলিগেট কার্ড দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা লীগ নেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন।
কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের মধ্যস্ততায় সোমবার বিকেলে মহিলা লীগ নেত্রী মরজিনা আকতার লুসি টেলিফোনে হাসিনা মহিউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কার্ড প্রদানে অপারগতার বিষয়টি জানান।
খবরটি জানাজানি হলে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত মহিলা আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশের কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনারও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মরজিনা আকতার লুসি একুশে পত্রিকাকে জানান, গত কদিন ধরে হাসিনা মহিউদ্দিনের কাছ থেকে আমাদেরকে দুইশ’ কার্ডের ব্যবস্থা করার জন্য আমরা কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সহ সভাপতি সাফিয়া রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করে আসছিলাম। প্রতিবারই এ বিষয়ে তিনি আমাদেরকে হাসিনা মহিউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। খারাপ ব্যবহার করেন বলে আমরা হাসিনার মহিউদ্দিনের কাছে যেতে চাইছিলাম না।
আমরা বলেছি, আমাদের যেতে হবে কেন, তারই তো উচিত ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কার্ড পৌঁছে দেওয়া। তবুও আজ (সোমবার) বিকেলে হাসিনা মহিউদ্দিনকে আমি ফোন করি। কাউন্সিলর ও ডেলিগেট কার্ড চাইলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন, বলেন তোমাদের কোনো কার্ড দেয়া হবে না। পরে শুধু আমার জন্য একটা কার্ড দিতে সম্মত হলে আমি বলেছি, আমরা মহিলা আছি এক হাজার, ১ টা কার্ড দিয়ে কী হবে?
লুসি বলেন, কার্ড না পেলেও আমরা সম্মেলনে যাবো।
এ ব্যাপারে হাসিনা মহিউদ্দিনের বক্তব্য জানার জন্য সন্ধ্যার পর থেকে বারবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। প্রতিবারই তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সম্মেলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সহ সভাপতি সাফিয়া রহমান জানান, ‘কাল সকালে হয়তো কার্ড দেবে।’
সকালে কার্ড, সকালেই সম্মেলন- এটা কী করে সম্ভব, এতে তো সমস্যা আরও বেশি হতে পারে, এমন প্রশ্নে সাফিয়া রহমান তার কিছুই করার নেই জানিয়ে ফোন রেখে দেন।
চট্টগ্রাম মহিলা লীগের দপ্তর সম্পাদক, প্রাক্তন কাউন্সিলর অ্যাডভাকেট রেহানা বেগম রানু বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা তার কাছ থেকে এমন আচরণ আশা করি না। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দলীয় হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করেন রেহানা বেগম রানু।
প্রাক্তন কমিশনার রেখা আলম চৌধুরী বলেন, আমরা পাঁচশ’র বেশী মহিলা আছি, যারা কেউ কার্ড পাইনি। এমনকি মহিলা লীগের কোনো সিনিয়র নেত্রীও কোনো কার্ড পাননি। বিষয়টি রাতের মধ্যেই সুরাহার দাবি জানিয়ে এ ব্যাপারে কেন্দ্রের কার্যকর হস্তক্ষেপ চান তিনি।