ঢাকা : বিকল্প ব্যবস্থা ও আগাম কোনো খবর বা সময় না দিয়ে অব্যাহতভাবে ক্যাবল কাটার প্রতিবাদে রোববার (১৮ অক্টোবর) থেকে প্রতিদিন তিন ঘণ্টা করে ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভিসেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
ক্যাবল কাটা বন্ধ না করা পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা তাদের সেবা বন্ধ রাখবে বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট ও কেবল টিভি সংযোগ প্রতিষ্ঠানগুলো।
এতে সমস্যায় পড়বেন অনেক মানুষ। বিশেষ করে যারা করোনার কারণে অনলাইন ক্লাস, পরীক্ষা, অফিস, ভার্চুয়াল সভা, কেনাকাটাসহ উচ্চ গতির ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল, তাদের সমস্যা আরও বেশি।
আইএসপিএবি সভাপতি এম এ হাকিম বলেন, বিকল্প ব্যবস্থা আমাদেরকে না করে দেয়া পর্যন্ত অনুরোধ করব তার অপসারণের কাজটা থামিয়ে রাখার জন্য। আগামী ১৭ অক্টোবরের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান না করা হলে আগামী ১৮ অক্টোবর রোববার থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সারাদেশে বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত, ব্যাংকসহ সকল পর্যায়ে ইন্টারনেট ডেটা কানেক্টিভিটি ও কেবল টিভির সেবা প্রতীকীভাবে বন্ধ রাখা হবে। যতদিন আমাদের এই সমস্যার সমাধান না হচ্ছে, ততদিন তিন ঘণ্টা করে সেবা বন্ধ থাকবে।
জানা গেছে, রাজধানীর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ঝুলন্ত তার অপসারণ অভিযান শুরু করেছে। এতে কাটা পড়ছে ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভি সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর তারগুলো।
এ অবস্থায় সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ও কেবল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) নেতৃবৃন্দ সেবা বন্ধের এ হুঁশিয়ারি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাসাবাড়ি, অফিস ও ব্যাংকসহ সব পর্যায়ে ইন্টারনেট ডাটা কানেক্টিভিটি এবং ক্যাবল টিভি বন্ধ রাখার প্রতীকী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আইএসপিএবি ও কোয়াব। বিকল্প ব্যবস্থা না করে বিনা নোটিশে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক অপসারণের হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে গত দুই মাসে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্যাবল সংযোগ দিতে হয়েছে। এতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভি অপারেটর ব্যবসায়ীরা।