রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনারদের প্রতি নিজেদের আস্থার কথা জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আজ সোমবার রাতে সাবেক সচিব খান মোহাম্মদ নূরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) করে ৫ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
অন্য কমিশনার হলেন সাবেক সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, রাজশাহীর সাবেক জেলা ও দায়রা জজ কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।
এর পরই নতুন ইসির বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছিলাম, রাষ্ট্রপতি যে সিদ্ধান্ত দেবেন তার প্রতি আমরা সম্মান জানাব। রাষ্ট্রপতি যাদের নিয়োগ দিয়েছেন, তারা কর্মজীবনে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। আশা করি, আগামীতেও তারা দক্ষতার পরিচয় দেবেন।’
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির প্রতি আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। আমরা রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
নবগঠিত ইসিকে অভিনন্দন জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যাদের নিয়োগ দিয়েছেন তাদেরকে আমরা অভিনন্দন জানাই। তারা সবাই দক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। অতীতের মতো আগামী নির্বাচনেও তারা তাদের দক্ষতার পরিচয় দেবেন বলে আশা করি।’
সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটি তাদের প্রস্তাবিত ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে দেয়। সেখান থেকেই রাষ্ট্রপতি সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেন।
সার্চ কমিটি সিইসি হিসেবে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার ও সাবেক সচিব কে এম নূরুল হুদার প্রস্তাব করেছিল।
এ ছাড়া কমিশনার হিসেবে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. জারিনা রহমান খান, সাবেক সচিব মো. রফিকুল ইমলাম, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, রাজশাহীর অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম কবিতা খানম, পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য মো. আবদুল মান্নান, ব্রিগেডিয়ার (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা জানিপপের চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ।