আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হ্যাকারদের কবল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টুইটার অ্যাকাউন্ট। বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে নাগাদ টুইটার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক করা হয়। এরপর সেখান থেকে বেশ কয়েকটি টুইট করা হয়। সেই সব টুইটগুলোতে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে রিলিফ ফান্ডে টাকা দান করার আবেদন করা হয়েছিল।
পরে টুইটার অ্যাকাউন্টটি হ্যাকারদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয়। হ্যাকের ঘটনা স্বীকার করেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
এই হ্যাকের ঘটনা স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে টুইটার। সেই বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ‘‘এই ঘটনা সম্পর্কে আমরা সচেতন। এবং অ্যাকাউন্টটি সুরক্ষিত রাখার পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। ঘটনা নিয়ে তদন্তও শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে অন্য অ্যাকাউন্টগুলোতে এর প্রভাব পড়েছে বলে আমাদের জানা নেই।’
যদিও মোদীর অফিস এই হ্যাকের ব্যাপারে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।
মোদীর ব্যাক্তিগত ওবেসাইটের সঙ্গে যুক্ত ওই টুইটার অ্যাকাউন্টটির নাম ‘নরেন্দ্রমোদী_ইন’। ২০১১ সালে চালু হওয়া ওই টুইটার অ্যাকাউন্টে রয়েছে ২৫ লক্ষ ফলোয়ার।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে হ্যাক করার পর সেখান থেকে বেশ কয়েকটি টুইট করে হ্যাকাররা। মূলত ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডে টাকা দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। সেই টুইটের কোনটাতে বলা হয়েছে, ‘আমি আবেদন করছি কোভিড-১৯এর জন্য প্রধানমন্ত্রী জাতীয় রিলিফ ফান্ডে টাকা দিন। ভারতে এখন ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু হল।’
তারপর বিটকয়েনের মাধ্যমে টাকা দেওয়ার একটি ‘আইডি’ দেওয়া হয়েছে। অপর একটি টুইটে জানানো হয়েছিল, ‘এই অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছে জন উইক। আমরা পেটিএম মল হ্যাক করিনি।’
‘নরেন্দ্রমোদী_ইন’ টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাকারদের থেকে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। এবং ওই টুইটগুলো সরিয়েও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই টুইটের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে।
এ বছর জুলাইে বিশ্বের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছিল। সেই তালিকায় ছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বিডেন, প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা, কোটিপতি এলোন মাস্কের মতো ব্যক্তিত্বরা।