রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১

তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন ‘আরো ভালো’ হবে -সিইসি

| প্রকাশিতঃ ১৯ মে ২০১৬ | ৪:১৫ অপরাহ্ন

কাজী রকিবউদ্দীন আহমদচট্টগ্রাম: প্রথম ও দ্বিতীয ধাপের তুলনায় তৃতীয় ধাপের নির্বাচন ‘আরো ভালো’ হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয ধাপের তুলনায় তৃতীয় ধাপের নির্বাচন আরো ভালো হবে, সেই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, প্রথম দিকে যেসব সমস্যা ছিলো পরবর্তীতে সেসব সমাধান করা হয়েছে। আইন শৃংখলা বাহিনী নিজেদের প্রাণ ও কেন্দ্র রক্ষায় প্রয়োজনে গুলি চালাবে। ভোট ডাকাতি এবং কেন্দ্র দখল রোধ করতে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সব ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এর আগে সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন আয়োজিত সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, ইউপি নির্বাচন বর্তমানে মাঝামাঝি পর্যায়ে আছে। আরও দুটি পর্যায়ের নির্বাচন বাকি আছে। নির্বাচনের পর শপথ গ্রহণের পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হচ্ছে। মার্চ মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত নির্বাচনের সময়সীমা। জুন থেকে রমজান মাস শুরু হওয়ায় নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন হয়ে যাবে।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির সাজার বিষয়ে তিনি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট আইন মোতাবেক বিচার করেছেন কিনা তা উচ্চতর বিচারকরা দেখবেন। যদি কোন আইনগত ত্রুটি থাকে তবে উচ্চতর আদালতে সুবিচার পাবেন।

এ সময় নির্বাচন কমিশনের সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, কোন বিচারক যখন বিচার করেন তখন স্বাধীনভাবে বিচার করেন। তারা নির্বাচন কমিশনকে হয়তো সহায়তা করতে এসেছেন, তারা নির্বাচন কমিশনের অধীন এ কথাটি সঠিক নয়। নির্বাচন কমিশন ম্যাজিস্ট্রেটকে বলে দেওয়ার এখতিয়ার নেই কত দিনের সাজা দেবেন। ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের উপরে ঊর্ধ্বতন আদালত আছে, সেখানেই এ বিষয়ে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।

প্রসঙ্গত গত ৭ মে দুপুর ১২টার টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে নির্বাচন চলাকালে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে বিজিবি’র হাতে অস্ত্রসহ আটক হন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী আইনে তাকে দুই বছরের সাজা দেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার রুহুল আমিন, পুলিশের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আকতার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল বাতেন প্রমুখ।