বিএনপি নেতৃত্বশূন্য হয়ে যায়নি বরং আওয়ামী লীগই জনশুন্য হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান। শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনাতনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
নোমান বলেন, সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণে বিএনপি নেতৃত্বশূন্য হয়নি বরং আওয়ামী লীগই জনশুন্য হয়ে পড়েছে। দলীয় প্রতিকে স্থানীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি এ নির্বাচনকে ভয় পায়না। কিন্তু এ নির্বাচনকে সরকার এমনই প্রহসনে পরিণত করেছে যাতে বিএনপি অংশগ্রহন করতে না পারে।
তিনি বলেন, কারাগারের দিন একদিন শেষ হবে। এরপরেও আরও দিন আসবে। শুধু আমাদেরকে সময় বুঝে রাস্তায় নামতে হবে।গণআন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতনকে তরান্বিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাড. খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। আর বসে থাকার সময় নেই। তাই সময় ও দিনক্ষণ বুঝে খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য রাজপথে নামতে আহ্বান জানবেন। তখন সকলকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী একের পর এক মিথ্যে মামলা দিয়ে সরকারকে ক্ষমতায় রাখার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আজকে আমাদের নেতা মির্জা ফখরুল, রেজভী আহমেদসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা কারাগারে কেন? তাদের অপরাধ কি?
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সময় এসেছে আবার জাগতে হবে। সবাইকে আহ্বান জানাবো রাজপথে নামতে হবে। রক্ত না দিয়ে রাজপথে নেমে লাভ নেই। তাই আসুন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নেই, দেশকে বাঁচাই। আমরা এখান থেকে প্রতিজ্ঞা নিয়ে যাবো, সবাই আন্দোলন করে যাবো এবং আন্দোলন করেই এ সরকারকে বিদায় করবো।
পুলিশ, বিজিবি, র্যাব আর বিদেশি শক্তি দিয়ে খুন করা যায় কিন্তু নির্বাচনে জনগণের সঙ্গে টেকা যায়না উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শেখ হাসিনা নির্বাচনকে ভয় পান, জনগণকে ভয় পান। তাই তিনি নির্বাচন দিচ্ছেন না।
এসময় সরকারের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ করে বলছি, জেলের ভয় দেখাবেন না। আগে যারা বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়েছে সবাই-ই জেল খেটেছে। তাই জেলের ভয় দেখাবেন না।
আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি মো. মুনির হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম, গোলাম সরোয়ার প্রমুখ।