রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১

যেভাবে প্রতিরোধ করবেন করোনা ভাইরাস

| প্রকাশিতঃ ৩১ জানুয়ারী ২০২০ | ৯:০৯ অপরাহ্ন

 

ডেস্ক : চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ২১৩ জন মারা গেছেন। বিশ্বের আরও ১৮টি দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। এই ভাইরাসটি অনেকটা সার্স ভাইরাসের মতোই মৃত্যু ডেকে আনছে। ভাইরাসটি নিউমোনিয়া ধরনের অসুস্থতা সৃষ্টি করে এবং তারপর অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসায় সাড়া দেয় না।

ভাইরাসটিতে সংক্রমণের লক্ষণ হচ্ছে সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। এছাড়া জ্বর ও মাথাব্যথাও হতে পারে। এসব সমস্যা কয়েকদিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের মানুষ, বয়স্ক ও শিশুদের এই ভাইরাসে শ্বাসনালীর সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। ইতোমধ্যে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যেমনটি তারা করেছিল সোয়াইন ফ্লু ও ইবোলার সময়।

করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য কোনো ভ্যাকসিন নেই। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট নতুন করোনা ভাইরাসটির ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজ করছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে পোষাপ্রাণিও। এমনকি সংক্রমণ তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। বর্তমানে এই ভাইরাস প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়িয়েছে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধের উপায় 

এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের কোনো চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়নি। তবে সচেতন থাকলে ও কিছু নিয়ম মেনে চললে, এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। যেমন-

• বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার করা।
• বাইরে পরা ময়লা কাপড় দ্রুত ধুয়ে ফেলা।
• বাইরে থেকে ফিরে সাবান-পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া।
• কিছু খাওয়া কিংবা রান্না করার আগে ভালো করে হাত ধুয়ে নেয়া।
• চোখ, নাক ও মুখের সংস্পর্শ থেকে যতদূর সম্ভব হাত সরিয়ে রাখা।
• সর্দি-কাশি, জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি না যাওয়া।
• অসুস্থ জীবজন্তু থেকে দূরে থাকা।
• খামার, গোয়ালঘর কিংবা বাজারের মতো জায়গা এড়িয়ে চলা।
• কোনও পশু স্পর্শ করার পর ভালোভাবে হাত ধুয়ে নেয়া।
• অপুষ্টি, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ নেন কিংবা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের বেশি সতর্ক থাকা।
• রোগের উপসর্গগুলো সাধারণ ঠাণ্ডার তুলনায় বেশি মনে হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
• ফলের রস ও পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
• ডিম অথবা মাংস রান্নার সময় ভালো করে সেদ্ধ করে নিন।
• উচ্চতাপমাত্রায় ও রোদে ভালোভাবে কাপড়, তোয়ালে, চাদর ইত্যাদি শুকিয়ে নিন।
• ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের যতটা সম্ভব গণপরিবহন এড়িয়ে চলতে হবে।

একুশে/এএ