যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, বিগত ৮ নভেম্বর লাখ লাখ মানুষ অবৈধভাবে ভোট দিয়েছে। আর এসব ভোট বাদ দেয়া হলে দেখা যাবে তিনি পপুলার ভোটেও (সাধারণ মানুষের ভোট) জয় পেয়েছেন।
রিপাবলিকান দল থেকে জয় পাওয়া ট্রাম্প তার দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করেননি। পরে ফলোআপ টুইটে তিনি আরো লেখেন, নির্বাচনে জিততে যদি ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতির পরিবর্তে তথাকথিত জনপ্রিয় ভোট হিসেব করা হত, তাহলে জয় পাওয়া আমার জন্য আরো অনেক সহজ হত। তখন আমাকে ১৫টি রাজ্যের বদলে মোটে ৩-৪টি রাজ্যে প্রচারণা চালালেই হত।
গ্রিন পার্টির প্রার্থীর উদ্যোগে উইসকনসিনে যে ভোট পুনর্গননার উদ্যোগ হয়েছে, তাতে পরাজিত ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের শিবির সমর্থন দেবার কথা বলবার পর ট্রাম্প এই বক্তব্য দিলেন। উইসকনসিনে খুব সীমিত ব্যবধানে জয় পেয়েছেন তিনি।
ইলেক্টোরাল ভোটের হিসেবে ট্রাম্প নির্বাচনে জিতলেও প্রাপ্ত মোট ভোট সংখ্যা অর্থাৎ জনপ্রিয় ভোটে হিলারি ট্রাম্পের চাইতে বহু এগিয়ে রয়েছেন।
হিলারির জয় পাওয়া ভার্জিনিয়া, নিউ হ্যাম্পশায়ার এবং ক্যালিফোর্নিয়াতেও ‘মারাত্মক ধরণের ভোট প্রতারণা’ হয়েছে বলেও অভিযোগ ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তিনি অভিযোগ করেছেন, এই ইস্যু নিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম টু শব্দটি করছে না।
রোববার ট্রাম্প তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক প্রার্থীকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, তিনি পরাজয় মেনে নিয়েছেন এবং প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের বক্তব্যও প্রকাশ করেন যেখানে হিলারি ক্লিনটন বলেছিলেন, ভোটে যে ফলই আসুক তিনি তা মেনে নেবেন। ওই বিতর্কে বরঞ্চ ‘ট্রাম্প হেরে গেলে ফল নেবেন না’ বক্তব্যের সমালোচনা করেছিলেন হিলারি।