মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ৭টায় মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইস শহরের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এতে সঞ্চালক হিসেবে আছেন এবিসি টেলিভিশনের মার্থা রাডাৎস ও সিএনএনের অ্যান্ডারসন কুপার।
বিতর্কে হিলারি বলেন, নারীদের অবমাননা করার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ২০০৫ সালের একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন। এতে দেখা যায়, ট্রাম্প নারীদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করছেন।
ট্রাম্প বলেন, তিনি ক্ষমতায় থাকলে হিলারি ক্লিনটনকে কারাগারে যেতে হবে। হিলারির ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহারের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।
কর ফাঁকি দেয়ার বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, হিলারির বন্ধু ওয়ারেন বাফেটের চেয়ে তিনি কোটি কোটি ডলার বেশি কর পরিশোধ করেছেন। তিনি বলেন, হিলারি আপনাদের কর বাড়িয়ে দিতে যাচ্ছেন।
হিলারি ক্লিনটন বলেন, ভ্লাদিমির পুতিন ও রাশিয়ার সরকার নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে হ্যাকিং পরিচালনা করছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের জোর ধারণা, মার্কিন সরকারের তথ্য হ্যাকিংয়ের পেছনে রাশিয়া রয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, আমি পুতিনকে চিনি না… আমি রাশিয়া সম্পর্কে কিছু জানি না। এরআগে পুতিনের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন তিনি।
বিতর্ক শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ট্রাম্প। এতে তিনি এমন তিন নারীকে হাজির করেন, যারা বিল ক্লিনটনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন।
ট্রাম্প বলেন, ২০০৫ সালের অশালীন মন্তব্য নিয়ে তিনি গর্বিত নন। তবে রাজনীতির ইতিহাসে বিল ক্লিনটন সবচেয়ে বেশি নারী নির্যাতন চালিয়েছেন।
ট্রাম্প আরো বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে একজন আইনজীবী নিয়োগ দেবেন, যিনি হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহারের বিষয়টি তদন্ত করবেন এবং এজন্য তাকে কারাগারে যেতে হবে।
এর প্রতিক্রিয়ায় হিলারি ক্লিনটন ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং এর ফলে গোপন কোনো নথি ভুল ব্যক্তির হাতে যায়নি বলেও উল্লেখ করেন।