বেশ কয়েকদিন ধরেই ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চলছে। দুপক্ষেই চলছে জবাব-পাল্টা জবাব। সম্পর্কের এই টানাপোড়েনের মাঝেই ঘোষণা আসলো ভারত থেকে পাকিস্তানে যাওয়া নদীর প্রবাহ বন্ধের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জম্মু-কাশ্মিরের উরিতে সেনা ব্রিগেডের একটি সদর দফতরের ওপর সন্ত্রাসী হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে ভারত। এজন্যই তাদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেয় ভারত।
ওই হামলায় ১৮ সেনা ও চার হামলাকারী নিহত হন। এছাড়া ওই ঘটনায় আহত ৩৫ সেনাকে সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়। হামলার পরপরই এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত। আর এ হামলার কড়া জবাব দিতে চান ভারতীয় সেনারা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ইন্দুস পানি চুক্তি নিয়ে পররাষ্ট্র, পানিসম্পদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়ার ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী। আর এরই মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধ কড়া পদক্ষেপ হিসেবে ইন্দুস পানি চুক্তি নিয়ে আরেকবার ভেবে দেখবে ভারত।
১৯৬০ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আইয়ুব খানের মধ্যে ইন্দুস পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির মধ্যস্থতা করে বিশ্বব্যাংক। চুক্তি অনুযায়ী, উপমহাদেশের পশ্চিমমুখী ছয়টি নদীর মধ্যে সুতলেজ, বিয়াস ও রাভি নদীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে ভারতের হাতে। অন্যদিকে প্রায় কোনো বিধিনিষেধ ছাড়াই অপর তিন নদী ঝিলুম, চেনাব ও ইন্দুসের পানি পাবে পাকিস্তান।
ভারত হয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করা ইন্দুস নদী পাকিস্তানের বড় একটি অংশে প্রবাহিত হচ্ছে। এই নদীর পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টিও দেখছে ভারত সরকার। কিন্তু সাম্প্রতিক টানাপোড়েনে এই চুক্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ভারত। পাকিস্তানকে জবাব দিতে এই পানি বন্ধ করাও হতে পারে বলে মনে করছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
-এনডিটিভি