সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

নিহত পলাশের আরো তথ্য জানালো র‌্যাব

প্রকাশিতঃ ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ | ৫:০৯ অপরাহ্ন

ঢাকা : নিহত বিমান ছিনতাইকারী যুবক মো. পলাশ আহমদকে ২০১২ সালে তরুণী অপহরণের অভিযোগ এবং ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান। র‌্যাবের ক্রিমিনাল ডেটাবেইজের তথ্যমতে তখন তার বয়স মাত্র ১৮ বছর ছিলো বলে জানান তিনি।

সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় র‌্যাব সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে মুফতি মাহমুদ বলেন, পলাশ আগেও বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। ২০১২ সালের মার্চে পলাশ আহমেদ ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। তার অপরাধ ছিল, সে একজন নারীকে অপহরণ করে আট লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। র‌্যাবের ক্রিমিনাল ডেটাবেইজে এ তথ্য লেখা আছে।

মুফতি মাহমুদ বলেন, পলাশের জন্ম ১৯৯৪ সালে। ২০১২ সালে যখন পলাশকে গ্রেফতার করা হয় তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর। ওই সময়ই সে নিজেকে বিবাহিত বলে দাবি করে।

র‌্যাবের ডাটাবেইজে সে সময় পলাশের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি সমমানের। সে মাদরাসা বোর্ডের শিক্ষার্থী ছিল।

মুফতি মাহমুদ আরো জানান, বিমান ছিনতাই চেষ্টার ওই ঘটনার পর র‌্যাব-৭ ঘটনাস্থলে যায়। র‌্যাবের বোমা ডিস্পোজাল ইউনিট সেখানে কাজ করে। পলাশের শরীরে বিস্ফোরকসদৃশ যা পাওয়া গেছে তাতে কোনো বিস্ফোরক ছিল না।এটা ভুয়া একটা জিনিস ছিল, যেখানে ভুয়া তার-সার্কিট দিয়ে ভেস্টের মতো তৈরি করা হয়েছিল।

এর আগে সকালে এক মুঠোফোন বার্তায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে পলাশের পরিচয় শনাক্ত হওয়ার বার্তা জানানো হয়।র‌্যাব জানায়, ছিনতাই চেষ্টাকারী ওই যুবকের নাম মো. পলাশ আহমেদ। তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে। সে বিমানের ঢাকা-চট্টগ্রাম অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী ছিল।

ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে পলাশের পরিচয় জানা গেছে। র‌্যাবের দেয়া তথ্যানুয়ায়ী, পলাশের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুরের দুধঘাটা গ্রামে। তার বাবার নাম পিয়ার জাহান সরদার। ওই উড়োজাহাজের ১৭/এ নম্বর আসনের যাত্রী ছিল পলাশ আহমেদ। সে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটের যাত্রী ছিল।

র‌্যাব বলছে, রোববারের অভিযানে নিহত বিমান ছিনতাইচেষ্টাকারী যুবকের আঙুলের ছাপ র‌্যাব ক্রিমিনাল ডেটাবেজের (অপরাধী তথ্যভাণ্ডার) একজন অপরাধীর সঙ্গে মিলে গেছে। ডেটাবেজ অনুযায়ী, যুবকের নাম পলাশ আহমেদ। তার বাবার নাম পিয়ার জাহান সরদার।

ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা বাংলাদেশ বিমানের ময়ূরপঙ্খি উড়োজাহাজের (বিজি-১৪৭ ফ্লাইট) যাত্রী তালিকায় তার নাম উল্লেখ ছিল AHMED/MD POLASH। সিট নম্বর ১৭এ। পলাশ আহমেদ ঢাকা-চট্টগ্রাম অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী ছিল।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান গণমাধ্যমকে জানান, নিহত ওই যুবক ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বিমানে চড়েন চট্টগ্রামে যাওয়ার উদ্দেশে। চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল ওই বিমানটি।

ক্রিমিনাল ডাটাবেজ থেকে পলাশের পরিচয় শনাক্তের কথা বললেও ঠিক কী ধরনের অপরাধের জন্য তার নাম র‌্যাবের ক্রিমিনাল ডেটাবেজে যুক্ত করা হয়েছিল, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি এ মুফতি মাহমুদ।

একুশে/এসসি