রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১

আদা-রসুনের দাম অনিয়ন্ত্রনে

| প্রকাশিতঃ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ১২:৪২ পূর্বাহ্ন

adaচট্টগ্রাম: কোরবানীর অন্যতম অনুষঙ্গ পিঁয়াজের বাজারে স্বস্তি থাকলেও অস্বস্তি বিরাজ করছে আদা ও রসুনের ক্ষেত্রে। আদা-রসুনের দাম বাড়তে থাকলেও নিয়ন্ত্রণ করছে না কেউ। ঈদ-উল-আজহাকে কেন্দ্র করে অসাধু একটি চক্র আদা রসুনের দাম বাড়াচ্ছে বলে ক্রেতারা অভিযোগ করেন।

জানা যায়, দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের আড়তে ভারত থেকে আমদানিকৃত সোনালি রঙের নাসিক পিঁয়াজ আকারভেদে প্রতিকেজি ১৩-১৬ টাকা, লালচে গোলাপি রঙের সাউথ পিঁয়াজ ১৬ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এসব পিয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০-২৭ টাকায় (মানভেদে)।

অন্যদিকে, খাতুনগঞ্জের আড়তে পাইকারিতে চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৭ টাকা। এসব রসুন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে এগুলোর পাইকারি দাম ছিল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। তাছাড়া বর্তমানে পাইকারিতে চীনা আদা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা করে। এক সপ্তাহ আগে এগুলো বিক্রি হয়েছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে। এগুলো খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৫০ টাকায়।

মধ্যম চাক্তাই মেসার্স আবুল বশর এন্ড সন্সের মালিক হাজী মো. আবুল বাশার বলেন, ‘গত ১৫ দিন আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ আদা-রসুন নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে একটি জাহাজ ছাড়ার কথা। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জাহাজটি দেশে এসে পৌঁছেনি। দু’একদিনের মধ্যেই সেটি আসবে। এর পর আদা-রসুনের দাম আবারো স্থির হয়ে যাবে’।

খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে পিঁয়াজের দাম কমছে। তাছাড়া বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমাণ পিয়াজ মজুদ আছে’।

খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসেন বলেন, ‘দেশে ভারত থেকেই বেশির ভাগ পিয়াজ আসে। ভারত থেকে স্থলবন্দর দিয়ে পিঁয়াজ আমদানি হওয়ায় চট্টগ্রামে পিঁয়াজের আমদানিকারক নেই। আড়তে বেপারিরা ট্রাকে করে পিঁয়াজ এনে পৌঁছে দেয়’।