নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রাম বিভাগের মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা,সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা,থানা নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
মঙ্গলবার ( ১৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর এক কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এই সভায় মোট ২৩ জন কর্মকর্তা নির্বাচনী মাঠের পরিবেশ, পরিস্থিতি ও প্রস্তুতির কথা সিইসির কাছে তুলে ধরেন। তবে এসময় কয়েকজন ব্যতীত সব কর্মকর্তাই ইতিবাচক মতামত ব্যক্ত করেন। যদিও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান মঞ্চ থেকে বারবার মাঠের কর্মকর্তাদের সমস্যার কথাগুলো সিইসিকে জানাতে বলেন।
পুলিশের বিভিন্ন থানার ওসি ও উর্ধতন কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রায় সকলেই সিইসিকে জানান, তাদের প্রতি অভিযোগ কমিশনে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়। প্রার্থী সমর্থকরা মূল ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে থাকেন। যা ঘটে তা বহুগুণ বাড়িয়ে ইসিতে নালিশ করেন। পাশাপাশি পুলিশ কর্মকর্তারা মিডিয়া ট্রায়ালেরও শিকার হন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট ১০টি আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস হোসেন নির্বাচনে প্রার্থীদের পক্ষ থেকে আসা অভিযোগগুলো ও মাঠের পরিস্থিতির সঠিক খবর পেতে সিইসিকে সোর্স মানি দেয়ার অনুরোধ করেন। এসময় তিনি, বৈধ অস্ত্র দ্রুত জমাদানের ব্যবস্থা নিতে ইসির নির্দেশনাও চান।
এদিকে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক কর্ণেল মিফতাহ চট্টগ্রামে র্যাবের জনবল সংকটকেই নির্বাচনী সমস্যা মনে করছেন। তিনি সিইসিকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ৮ বাহিনীর সমন্বয়ে র্যাবে যদি আরো অফিসার দেয়া হয় তাহলে নির্বাচনে কাজ করতে সুবিধা হবে। ২৬ আসনে বর্তমানে ১৫ জন অফিসার নিয়ে তাদের কাজ করতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি ও মহেশখালীতে যেন আলাদাভাবে নজর দেয়া হয়।
কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার এটিএম মাসুদ হোসেন রোহিঙ্গাদের নিয়ে টেনশনে আছেন বলে সিইসিকে জানান। তাই নির্বাচন দিন ও আগে পরে মোট তিনদিন সেখানে অন্য বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা যায় কিনা-সে ব্যাপারে সিইসির প্রতি অনুরোধ জানান।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান এর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.)শাহাদাত হোসেন ও নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ।
একুশে/আরএইচ