বিএনপির নতুন কমিটি নিয়ে দলের নেতাদের অনেকের ক্ষোভ-হতাশা থাকলেও ঘোষিত কমিটিতে কোনো রদবদলের সম্ভাবনা নেই। তবে এখন শূন্য থাকা কয়েকটি পদের পাশাপাশি এক নেতার এক পদ নীতি কার্যকর হলে আরও প্রায় ৪০টি পদ খালি হবে। সে পদগুলো পূরণের ক্ষেত্রে ‘বঞ্চিতদের’ বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্ষদ জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। রাত সোয়া নয়টা থেকে ১১টা পর্যন্ত গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূল স্তর থেকে বিএনপিকে পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একইসাথে রামপাল বিদ্যু কেন্দ্র নির্মাণের প্রতিবাদ জানিয়ে শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করবেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
জানা গেছে, দলের ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটির আকার বড় করারও আপাতত সম্ভাবনা নেই। বৈঠকে পহেলা সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এর অংশ হিসেবে রাজধানীতে শোভাযাত্রা ও আলোচনাসভা করা হবে।
খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আগামী ২১ আগস্ট বিএনপির নতুন কমিটি দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে মূলত সাংগঠনিক বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। দলের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও মহানগর কমিটির কাঠামো ঠিক করা হয়েছে। প্রত্যেক ওয়ার্ডে ন্যূনতম ১০০ জন নিবন্ধিত সদস্য করতে হবে। জেলা কমিটি হবে ১৫১ সদস্যের। এরমধ্যে ৭৪টি হবে কর্মকর্তা পর্যায়ের পদ, বাকি ৭৬টি হবে সদস্য পদ।
স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নতুন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, তরিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।