চট্টগ্রাম : পকেট থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়া, ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে মামলা করেছেন আইনজীবী রিগ্যান আচার্য্য।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ ইসমাইল হোসেনের আদালতে তিনি মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি গ্রহণ করে দুদকের ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে মামলাটি তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার আসামিরা হলেন পটিয়া থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) খাজু মিয়া, মো: খোরশেদ, সহকারি উপ পুলিশ পরিদর্শ (এএসআই) মো: মাসুম, মো: বশির ও কনস্টেবল হুমায়ুন।
বাদিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, সেলিম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট সেলিম উদ্দিন চৌধুরীর এজাহারের উদ্ধৃতি দিয়ে একুশে পত্রিকাকে বলেন, পটিয়ার ধলঘাটস্থ শ্বশুরবাড়ি থেকে বিশ্বকর্মাপূজা শেষ করে শহরে আসার উদ্দেশ্যে ১৭ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ১টায় পটিয়া ধলঘাট ক্যাম্পের কাছে একটি গাড়িকে সিগন্যাল দেন ভিকটিম রিগ্যা আচার্য্য। সামনে থামলে দেখতে পান সেটি পুলিশের গাড়ি। এসময় পুলিশ অ্যাডভোকেট রিগ্যঅনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এর প্রতিবাদ জানালে অভিযুক্ত পুলিশের সদস্যরা রিগ্যানকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নিয়ে তার পকেট থেকে ৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় পরিবারের সদস্যদেরকে ফোন করে ১ লাখ টাকা নিয়ে পটিয়া থানার সামনে আসতে বলার জন্য চাপ দিতে থাকে। বাদি পরিবারের সঙ্গে কথা বলার ভান করে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন চৌধুরীকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে সেই ফোন থেকে পুলিশের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। পরিচয় পাওয়ার পর বাদিকে ছেড়ে দেয়ার আশ্বাস দেয় পুলিশ।
‘কিন্তু পরক্ষণে তারা আবার সিদ্ধান্ত নেয় যে, বাদিকে মাতাল সাজিয়ে ছাড়বে। এজন্য পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় অাইনজীবী রিগ্যানকে। এরপর ভোরে থানায় নিয়ে গিয়ে ডিউটি অফিসারের কক্ষে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রেখে জোরপূর্বক দুটি সাদাকাগজে স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করে। এতে বাদি অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যলা মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করে।
আইনজীবীর সমিতির সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ওসির ফোনালাপের পর ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় রিগ্যান আচার্যকে ছাড়ে পুলিশ।’ বলেন আইনজীবী সেলিম উদ্দিন চৌধুরী।
মামলায় দুর্নীতি দমন আইন ১৯৪৭ এর (৫) ২ ধারা সাথে দন্ডবিধির ১৬১ ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।
একুশে/এটি