রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

সন্ত্রাসী ও নাস্তিকদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে হেফাজত

প্রকাশিতঃ ৫ অগাস্ট ২০১৬ | ৩:৩০ অপরাহ্ন

hefajat islamচট্টগ্রাম: সন্ত্রাসী ও নাস্তিকদের বিরুদ্ধে পাড়ায় মহল্লায় প্রতিরোধের দূর্গ গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন হেফাজত ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে নগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ গেটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে তিনি এ কথা জানান। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও গুপ্তহত্যার প্রতিবাদ এবং শিক্ষার সর্বস্তরে ইসলামি শিক্ষা চালুর দাবিতে এ কর্মসুচী পালন করে হেফাজত।

জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, সন্ত্রাস, গুম, খুন, দুর্নীতি ইসলামে নেই। যারা সন্ত্রাসবাদী তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দিতে হবে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনের নামে নিরীহ মানুষকে হয়রানিও ইসলামে নেই। ইসলাম সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে না।

সমাবেশে তিনি বলেন, খুতবার উৎস কোরআন হাদিস। তাই খুতবা নিয়ন্ত্রণ করলে ইসলাম নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তৌহিদি জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে খুতবা নিয়ন্ত্রণ প্রতিহত করবে। সন্ত্রাসবাদ ও নাস্তিক্যবাদ কোনটাই মুসলমানরা সহ্য করে না।

তিনি বলেন, আমরা সন্ত্রাসবাদ ও ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদিদের প্রতিহত করার সংগ্রামে নেমেছি। প্রয়োজনে আলেম ওলামা ও তাওহিদী জনতা সকল সন্ত্রাসী ও নাস্তিকদের বিরুদ্ধে পাড়ায় মহল্লায় প্রতিরোধের দূর্গ গড়ে তুলবে।

ধর্মীয় শিক্ষার ওপর প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্ব দেয়াকে স্বাগত জানিয়ে জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ধর্মীয় শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়াকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু নাস্তিক শিক্ষামন্ত্রীকে এ কাজটি সফল হবে না। নতুন শিক্ষানীতি বাতিল করতে হবে। এই শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন বাস্তবায়ন হলে দেশ ও দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংস হয়ে যাবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও দেশের মানুষের ধর্মীয় আবেগ অনুভূতি রক্ষার স্বার্থে শিক্ষানীতি ২০১০ ও শিক্ষা আইন ২০১৬ বাতিল করে দেশের সকল প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

হেফাজত নেতা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, মন্ত্রী-বুদ্ধিজীবীরা বলেছিল কওমি মাদ্রাসা জঙ্গির প্রজনন ক্ষেত্র। শোলাকিয়া ও গুলশানের ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে, কওমি মাদ্রাসা থেকে জঙ্গি বের হয় না। সারাবিশ্বে ইহুদিরাই সন্ত্রাসী জঙ্গি হামলা করছে। তথ্য মন্ত্রী তেতুল হুজুর বলে বেয়াদবি করেছেন। তাকে মন্ত্রিসভায় রেখে শান্তি আনা সম্ভব নয়।

সভাপতির বক্তব্যে হেফাজত নেতা মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহী বলেন, আল্লাহর গজব থেকে রক্ষা পেতে চাইলে উলামা-মাশায়েখ, দাড়ি-টুপি-হিজাব বিরোধী অপতৎপরতা বন্ধ করুন। নাস্তিক্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদের শিক্ষাদান এবং জুমার খুতবায় হস্তক্ষেপ সহ্য করা হবেনা।

হেফাজতের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনম আহমদুল্লাহ’র পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- মাওলানা সরোয়ার কামাল আজিজী, মাওলানা আবু তাহের আরবী, মাওলানা হাবিবুল্লাহ আজাদী, মাওলানা হাজী মুজাম্মেল হক, মাওলানা মীর ইদরিস, মাওলানা আবদুল্লাহ আল মাসউদ খান প্রমুখ।