চট্টগ্রাম: ১৫৫ কোটি ৪৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় রাষ্ট্রায়ত্ব অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান চার কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া শর্তসাপেক্ষে ওই ব্যাংকের আরেকজন কর্মকর্তার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।
কারাগারে যাওয়া চারজন হলেন- অগ্রণী ব্যাংকের আগ্রাবাদ করপোরেট শাখার সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক নূরুল আমিন (৫৬), সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার উদয় কুমার বিশ্বাস (৬৩), প্রিন্সিপাল অফিসার শাহজাদুল আলম (৪৯) ও সহকারি মহাব্যবস্থাপক ইয়াসিন ফারুকী (৫৬)। আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন অগ্রনীর সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক জোনায়েদ বোগদাদী (৬১)।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাবলু বলেন, টাকা আত্মসাতের মামলার আসামি হিসেবে অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান পাঁচ কর্মকর্তা আত্মসমর্পণ করেন। এরমধ্যে জোনায়েদ বোগদাদীর হজে যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য তার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বাকি চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
আদালত সূত্র জানায়, শিল্প গ্রুপ ইলিয়াছ ব্রাদার্সের কর্মকর্তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি করেন। কিন্তু ঋণ পরিশোধ না করে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে যথাক্রমে ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, ৪৬ কোটি ৪৯ লাখ ২৮ হাজার টাকা এবং ৬৩ কোটি ৩৬লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ১৬ মে দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সামছুল আলম বাদি হয়ে নগরীর ডবলমুরিং থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এতে ইলিয়াছ ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সামশুল আলম (৫০), পরিচালক নূরুল আলম (৪২), চেয়ারম্যান নূরুল আবছার (৪৯), পরিচালক জয়নাব বেগম (৬৪), কামরুন্নাহার বেগম (৪২) ও তাহমিনা বেগম (৩৪)এবং অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান পাঁচজন কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়।