বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
সরকার ইচ্ছা করলেই লেখক-প্রকাশকদের হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব মন্তব্য করে গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, হত্যাকারীদের আস্ফালন রুখে দিতে এক ধরণের নয়, প্রতিবাদের সব ভাষাই ব্যবহার করতে হবে।
বাঙ্গালির আত্মপরিচয়ের যে সংস্কৃতি, এই সংস্কৃতির এই অপশক্তিকে রুখে দেয়ার শক্তি রয়েছে। আজ বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা এবং শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর তিন লেখক প্রকাশকের ওপর হামলার প্রতিবাদে আযোজিত সাংস্কৃতিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ইমরান এইচ সরকার বলেন, হত্যাকারীরা পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিচ্ছে, তারা এদেশকে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ হতে দেবে না, এদেশে সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা হতে দেবে না, এদেশের নারীদের ঘর থেকে বের হতে দেবে না, মানুষকে স্বপ্ন দেখতে দেবে না, এদেশের অগ্রযাত্রাকে তারা মেনে নেবে না। তারা চায় এদেশের মানুষ মধ্যযুগীয় বর্বর শাসনের মধ্যে থাকবে, মানুষকে তারা হত্যা করবে। তাদের মন চাইলেই মানুষের চিন্তা-বুদ্ধি-স্বপ্ন সবকিছুকে তারা স্তব্ধ করে দেবে।
তিনি বলেন, যে দেশগুলোতে এই হত্যাকারী হায়েনাদের আবির্ভাব হয়েছে, সেই দেশগুলোতে মধ্যযুগীয় বর্বর শাসন চলছে। আজকে তারা এদেশকে একটি জঙ্গীরাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাদের এই যুদ্ধ কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা সরকারের বিরুদ্ধে নয়, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, এই দেশের সকল মানুষের বিরুদ্ধে।
বিকেল চারটা থেকে শুরু হওয়া সাংস্কৃতিক সমাবেশে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা বিভিন্ন সঙ্গীত পরিবেশন করেন। কবিতা আবৃতি করেন আমেরিকা প্রবাসী মিথুন আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে উদীচীর সহ সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম। সন্ধ্যায় গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীরা শাহবাগে আলোক প্রজ্জ্বলন করে।