আবু_আজাদ : চলতি বছরের মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষার ফলাফলে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হারে ছাত্রীদের তুলনায় ছাত্ররা এগিয়ে আছেন। তবে মেধার সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন ছাত্রীরা।
রোববার (৬ ম) দুপুরে প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, মেয়েদের সামগ্রিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার প্রবণতা এবারও ঈর্ষণীয়। ছাত্রীদের তুলনায় ছাত্রদের পাসের হার শুন্য দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. তাওয়ারিক আলম মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা যায়, এ বছর ১ হাজার ১০টি বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৩৫ হাজার ৪৭৮ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৬২ হাজার ৭৫৭ জন ছাত্র ও ৭২ হাজার ৩৯১ জন ছাত্রী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার ৩৭ জন। ছাত্রদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আর ছাত্রীদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৮ হাজার ৯৪ জন ছাত্রছাত্রী। এর মধ্যে ছাত্রী ৪ হাজার ১৭২ জন ও ছাত্র ৩ হাজার ৯২২ জন।
পাশাপাশি এবার বিজ্ঞান-মানবিক-ব্যবসায় শিক্ষা তিন বিভাগেই পাসের হার কমেছে। বিজ্ঞানে বিভাগে গতবছরের তুলনায় কমে এবার পাসের হার ৯০ দশমিক ০০ শতাংশ। যা গতবছর ছিল ৯২ দশমিক ০৭ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে এবার পাসের হার ৭৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ। যা গতবছর ছিল ৮৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। মানবিক বিভাগে গতবছরের তুলনায় কমে এবার পাসের হার ৬০ দশমিক ১৩ শতাংশ। যা গতবছর ছিল ৭৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
ছাত্রীদের ভালো ফলের কারণ জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. তাওয়ারিক আলম একুশে পত্রিকাকে বলেন, ছাত্রীদের গড় ফল ভালো করার একটি অন্যতম কারণ ক্লাসে উপস্থিতি। আমরা বিভিন্ন সময় খেয়ার করেছি ছেলেদের চােইতে মেয়েরা ক্লাসে বেশি অংশ নেয়। এছাড়া বেশ কযেকবছর ধরে মেয়েরাতো ক্রমাগত ভালো করছেই।’
শিক্ষাবোর্ড বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ২৮৫ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৮৩ জন। এবছর মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬ জন।
চট্টগ্রাম মহানগরে পাসের হার ৮৫ দশমিক ২২ শতাংশ। মহানগর বাদে চট্টগ্রাম জেলায় পাসের হার ৭৭ দশমিক ২৬ শতাংশ। মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় পাসের হার ৭৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৭৪ দশমিক ২৯, রাঙামাটিতে ৬২ দশমিক ৭২, খাগড়াছড়িতে ৫০ দশমিক ৫২ ও বান্দরবানে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৯২ শতাংশ।
রোববার সকালে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের নেতৃত্বে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন।
এ সময় সার্বিক ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ফলের খাতায় এবার কিছু ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সমভাবে মূল্যায়ন করা হয়, এজন্য আমরা খাতা পুনঃমূল্যায়নের ব্যবস্থা রেখেছি।’
একুশে/ এএ