চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের রহমতগঞ্জে ১০টি পরিবারের বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে এক সংবাদ সম্মেলনে। মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ইমাম হোসেন বলেন, রহমতগঞ্জ সাত্তার মঞ্জিলের বিপরীতে সাড়ে ৫ গন্ডা আয়তনের জায়গায় তারাসহ ১০টি পরিবারের সদস্যরা বসবাস করে। প্রায় ১০০ বছর ধরে তারা বংশ পরম্পরায় সেখানে বসবাস করে আসছে। ওই জায়গা নিয়ে মামলা চলছে কয়েক যুগ ধরে। হঠাৎ রোববার দুপুরে একে-৪৭ রাইফেল, চাইনিজ রাইফেল, পিস্তল, হকিস্টিক, রাম-দা, কিরিচ, লোহার রডসহ ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বসবাসকারীদের উপর হামলা চালায় প্রায় দুইশ’ জনের সন্ত্রাসী দল। বিকেলে তান্ডব শুরু হয়।
তিনি বলেন, রাতের মধ্যে বুলডোজার দিয়ে এসব বাড়ি গুড়িয়ে দেয়া হয়। রাতের আঁধারেই সরিয়ে ফেলা হয় বাসার ইট, টিন, কাঠ ও ঘরের সব মালামাল। সোমবার সকালে গিয়ে দেখা গেছে, চারদিকে টিনের ঘেরা দেয়া সমতল খালি মাঠ। ১০ পরিবারের সমস্ত জিনিস লুট করে নিয়ে যায় দখলকারী সন্ত্রাসীরা। এতে তাদের ৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। নারীদের মারধর, নির্যাতন ও শ্লীলতাহানিও করেছে সন্ত্রাসীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি আমরা।
তিনি আরও বলেন, রহমতগঞ্জের তাদের বসতি টি ১৯৩৪ সালে খান বাহাদুর মৌলবী ছাত্তারের স্ত্রী নুরজাহান বেগম তাদের তৎকালীন ঘোড়া চালক ও ঘোড়া পালনকারী রহিম বক্সকে মৌখিকভাবে দান করেন। অশিক্ষিত থাকার তাদের নামে আর.এস, বি.এস নামে জরিপ করাতে পারেনি। রহিম বক্সের বংশধর ১০টি পরিবার সেখানে বসবাস করে আসছে শত বছর ধরে। তাদেরকে উচ্ছেদ করার পর ১০ পরিবারের সদস্যরা এখন খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সেনু আরা বেগম, নাছিমা আক্তার, রাশেদা বেগম, দিলোয়ারা বেগম, নুরজাহান বেগম, খুরশিদা আক্তার ও শিলু আক্তারসহ ভুক্তেভোগিরা।
এসআর/একুশে