সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

চট্টগ্রামে লুটে বাধা দিয়ে খুন, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩

প্রকাশিতঃ ২৪ এপ্রিল ২০১৮ | ১২:৪৩ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলীতে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে এক দোকান কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেলে ঈদগাঁও রূপসা বেকারীর পাশের গলিতে আব্দুল মালেক দারোয়ানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার দুপুরে তা গণমাধ্যমকে জানানো হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মনসুর আহাম্মদ ওরফে মনসুর আলী (৩৮), কোহিনুর বেগম (২৭) ও মো. বেলাল হোসেন (২৭)। মনসুর এক সময় কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, গত ৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২টার দিকে পাহাড়তলী বাজারস্থ রানা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি দোকানে ডাকাতির চেষ্টাকালে উক্ত দোকানের কর্মী মাসুদ রানা তাদেরকে বাধা দেয়। তখন দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে রানাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর মো. হেলাল নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়।

এরপর হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় হেলাল। জবানবন্দিতে হেলাল উল্লেখ করেন, ঘটনার সময় মনছুর আহাম্মদ অস্ত্র-গুলি দেখিয়ে দোকান থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ভিকটিম মাসুদ রানা তাদেরকে দোকানে ডাকাতি করতে বাধা দিলে খুনের ঘটনা ঘটে।

তদন্তের ধারাবাহিকতায় গত ২৩ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঈদগাঁও রূপসা বেকারীর পাশের গলিতে আব্দুল মালেক দারোয়ানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মনসুর আহাম্মদ ও তার স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে দুটি দেশীয় তৈরী বন্দুক ও সাতটি কার্তুজসহ গ্রেফতার করা হয়। এরপর মনসুরের তথ্যমতে ঘটনায় জড়িত অপর আসামি বেলাল হোসেনকে বারকোয়ার্টার এলাকার লাল মিয়ার ভাড়াঘর থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির হোসেন বলেন, উদ্ধার হওয়া অস্ত্র-গুলি খুনের ঘটনায় ব্যবহার করা হয়েছিল বলে গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন। অস্ত্র-গুলি লুকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করায় মনসুরের স্ত্রী কোহিনুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, খুনের ঘটনা ছাড়াও গত ১১ মার্চ মনসুরের নেতৃত্বে পাহাড়তলী রেল ক্রসিং এলাকায় টহল পুলিশের ওপর গুলি করা হয়। সেদিন তারা টহল পুলিশের সিএনজি অটোরিকশাকে পাবলিকের সিএনজি অটোরিকশা মনে করে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিল। মনসুরের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, দস্য্যুতা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির অভিযোগে বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলাটি আছে। পাঁচটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

একুশে/এএ/এসআর