নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের রাউজানে আজ সোমবার (১৬ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে চারদিনব্যাপী ‘প্রাণের টানে পায়ে হেঁটে রাউজানের ঘরে ঘরে’ তথা পায়ে হেঁটে রাউজান ঘুরে দেখা কর্মসূচি।
এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির উদ্যোগে সকাল ৯টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে উপজেলার ইছাপুর ব্রিজ থেকে যাত্রা শুরু হয় এ কর্মসূচির।
আগামী বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) পৌরসভার গহিরা চৌমুহনীতে গিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত হবে। চারদিনের এ যাত্রায় কমপক্ষে ১৪ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড পায়ে হাঁটার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
রাউজানের সর্বস্তরের জনসাধারণের ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিকে সফল ও স্বার্থক করতে প্রতি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সাধারণ লোকজন।
ফজলে করিম এমপি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পায়ে হেঁটে রাউজানের প্রতিটি এলাকায় যাওয়া, মানুষের সঙ্গে কথা বলা’ কর্মসূচি বিশাল একটি উদ্যোগ। এ উদ্যোগকে সবাই স্বাগত জানিয়েছে। বাংলাদেশে এটি একটি নজির স্থাপন করবে। সকল স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে।
এদিকে, ‘প্রাণের টানে পায়ে হেঁটে রাউজানের ঘরে ঘরে’ কর্মসূচি প্রায় প্রতিটি এলাকায় সাজ সাজ রব। নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা গিয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।
প্রতিটি এলাকায় ছেয়ে গেছে কর্মসূচির পথ নির্দেশিকা তথা মানচিত্র সম্বলিত বর্ণিল পোস্টার। ছাপা হয়েছে লিফলেট। লিফলেট, পোস্টারে থাকছে ফজলে করিমের উন্নয়নের সংক্ষিপ্ত ফিরিস্তি। পায়ে হাঁটা কর্মসূচিতে অংশ নেয়া সাধারণ মানুষ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের জন্য করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত টুপি (ক্যাপ), বিশেষ পরিধান (গেঞ্জি অথবা কটি)। সঙ্গে রয়েছে উন্নয়নের ফিরিস্তি-সম্বলিত লিফলেট।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এবিএম ফজলে করিম এমপির এ পায়ে হাঁটা কর্মসূচিতে প্রতিদিন পুরোদমে অংশ নিচ্ছেন আড়াইশ জন। এছাড়া প্রতি ইউনিয়নে যোগ দেবেন কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। যেখানে রাত সেখানেই নেতাকর্মীদের নিয়ে রাতযাপন করবেন তিনি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, ইছাপুর ব্রিজ হয়ে পর্যায়ক্রমে গহিরা, নোয়াজিষপুর, চিকদাইর, ডাবুয়া, হলদিয়া, পৌরসভা, ৭ নং রাউজান ইউনিয়ন, কদলপুর, পাহাড়তলী, বাগোয়ান, নোয়াপাড়া, উরকিরচর, পশ্চিম গুজরা, পূর্ব গুজরা, বিনাজুরী হয়ে পৌরসভার গহিরা চৌমুহনীতে শেষ হবে। পায়ে হাঁটার সময় বিভিন্ন ইউনিয়নে, গ্রামে-গ্রঞ্জে পথসভা, সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় ছাড়াও তাদের সুখ-দুঃখের কথা শুনবেন এমপি ফজলে করিম।
একুশে/এএ