রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১

চট্টগ্রামে শিশুশ্রম নিরসনে ডাটা বেজ তৈরির কাজ শুরু

| প্রকাশিতঃ ৩ এপ্রিল ২০১৮ | ৪:৪১ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঝুঁকিপূর্ন পেশায় নিয়োজিত শিশুদের শ্রম পেশা বন্ধ করে তাদেরকে অধ্যয়ন এবং সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পেশাজীবী শিশুদের ডাটা বেইজ তৈরির কাজ শুরু করছে। এ লক্ষে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের স্ব স্ব কাউন্সিলরকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে চসিক কে বি আবদুচ ছাত্তার মিলনায়তনে এ সংক্রান্ত একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভার সিদ্ধান্ত হয়, গঠিত কমিটি সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সমন্বিত করে কাজ করবে। আগামী ৩ মাসের ডাটা বেজ তৈরি করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো করা হবে।

সভায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা থেকে শিশুশ্রম নির্মুলের লক্ষ্যে দেশব্যাপী কাজ শুরু করেছে। সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৪ বছরের নিম্ন বয়সি শিশুরা যেসব পেশায় শ্রমজীবী হিসেবে নিয়োজিত আছে তাদের ডাটা বেজ তৈরির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পেোরেশনের অধীনে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ডাটা বেজ তৈরির জন্য একটি করে কমিটি গঠন করা হবে। কমিটিতে স্ব স্ব ওয়ার্ড কাউন্সিলর সভাপতি,সংরক্ষিত কাউন্সিলর সহ-সভাপতি,সংরক্ষিত কাউন্সিলর সহ-সভাপতি,ওয়ার্ড সচিব সদস্য সচিব হিসেবে অন্তর্ভূক্ত থেকে দায়িত্ব পালন করবে।তাছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রতিনিধি,শিশু অধিকার ফোরাম,বেসরকারি সংস্থা(এনজিও) এবং কল-কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর প্রতিনিধিবৃন্দও সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত থাকবেন।

এসময় তিনি কাউন্সিলরদেরকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কার্যক্রম সম্পন্ন প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, গত ৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের সভাপতিত্বে বিভাগীয় শিশুশ্রম কল্যান পরিষদের ৫ম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তীতে ২৫ জানুয়ারি বিভাগীয় শিশুশ্রম কল্যান পরিষদ ও জেলা শিশুশ্রম পরিবীক্ষন কমিটি একটি যৌথ সভার আয়োজন করে।

সভায় ৪টি ঝুকিপূর্ণ সেক্টর এলুমিনিয়াম,শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড,প্লাস্টিক ও কাঁচ শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শিশুদের ডাটা বেজ তৈরির সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এ লক্ষ্যে নগরে সংশ্লিষ্ট সেবা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ৬টি বেসরকারি সংস্থাকে ওয়ার্ড ভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

একুশে/এএ