রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

জাকির নায়েকের অফিস ঘিরে রেখেছে পুলিশ

প্রকাশিতঃ ৮ জুলাই ২০১৬ | ২:০৪ অপরাহ্ন

jakir nayekঢাকা: ভারতের ইসলামী চিন্তাবিদ জাকির নায়েকের জনসম্মুখে দেয়া বক্তব্য তদন্ত করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। খবর এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার। এছাড়া মুম্বাইয়ে জাকির নায়েকের ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিশ বলেছেন, জাকির নায়েকের বক্তব্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় তার অ্যাকাউন্টগুলো, অর্থের যোগানসহ সব কিছু খতিয়ে দেখা হবে। এর আগে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারও জাকির নায়েকের বক্তব্যকে ‘আপত্তিকর’ আখ্যা দিয়ে তার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দেয়। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাকির নায়েকের বক্তব্য যাচাই করে করণীয় ঠিক করবে।

জাকির নায়েকের বক্তব্যে অনেকে অনুপ্রাণিত হয়ে জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েছে বলে অনেক সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এছাড়া তার দেয়া ইসলামের অনেক ব্যাখ্যা বিতর্কের জন্ম দেয়। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার সেসব বক্তব্যে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়।

কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টেলিভিশনে প্রচারিত জাকির নায়েকের বক্তব্য খতিয়ে দেখছে। এরপরই করণীয় ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। খবরে বলা হয়, জাকির নায়েকের বক্তব্য প্রচার হয় পিস টিভিতে। অভিযোগ আছে ওই টিভিতে সব মুসলমানদের সন্ত্রাসী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

ঢাকার গুলশানে রেস্তোরাঁয় হামলাকারী দুই জঙ্গি জাকির নায়েককে অনুসরণ করতেন। গুলশানের ওই রেস্তোরাঁয় এক হামলাকারী ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের এক নেতার ছেলে রোহান ইমতিয়াজ। তিনি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে জাকির নায়েককে নিয়ে প্রচার চালিয়েছিলেন বলে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

কিন্তু জাকির নায়েক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ৯০ শতাংশ বাংলাদেশি আমাকে চেনেন। অনেক বাংলাদেশি আমার ফেসবুক ফলোয়ার। আমি কি আহত হবো এটা জেনে যে, হামলাকারীরা আমাকে চিনতেন? না।” এর অর্থ এই নয় যে, তিনি হামলাকারীদের অনুপ্রাণিত করেছেন।

জাকির নায়েকের বক্তব্যের কারণে তার প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন যুক্তরাজ্য ও কানাডায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।