ঢাকা: বাংলাদেশের উন্নয়নে আগের মতোই পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে জাপানি সাহায্য সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। বুধবার জাইকার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট শিনিচি কিতাওয়াকা এ তথ্য জানান। এক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিবৃতিতে জাইকা প্রেসিডেন্ট গুলশানের হামলায় সাত জাপানি পরামর্শক নিহত এবং একজন আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, হতাহত জাপানি নাগরিকরা শুধু বাংলাদেশে জরিপ করতেই আসেননি, তারা একটি উন্নয়নশীল দেশের অগ্রগতিতেও অবদান রাখছিলেন।
বিবৃতিতে অপর এক সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে এক জাপানি নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় জাইকা কর্মীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা সত্ত্বেও জাইকা কর্মীদের হতাহত হওয়ার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। বিবৃতিতে হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকারও ঘোষণা দেন জাইকা প্রেসিডেন্ট।
গত শুক্রবার গুলশানের আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিদের হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জন নিহত হয়। পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে কমান্ডো অভিযানে ছয় জঙ্গি নিহত হয়। জঙ্গিদের হামলায় নিহত বিদেশিদের মধ্যে জাপানের সাত নাগরিক ছিলেন।
এ ঘটনার পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা এদেশ থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে বলে সংস্থাটির এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল তথ্য দেয়।
পরে জাইকার এক নারী মুখপাত্রও জানিয়েছিল, এই হত্যাকাণ্ডের পর তাদের সংস্থা বাংলাদেশ থেকে কর্মকাণ্ড গুটিয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে।
গতকাল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, এ ব্যাপারে জাপানের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। জাইকা আগের মতোই বাংলাদেশের উন্নয়নে আমাদের পাশে থাকবে। প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর জাইকা প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা এলো।