রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১

মহিউদ্দিনের কুলখানিতে না খেয়ে ফিরেছেন হাজারো মানুষ!

| প্রকাশিতঃ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ | ১:৩৭ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম : জীবদ্দশায় মহিউদ্দিন চৌধুরীর লঙ্গরখানা থেকে কেউ কখনো না খেয়ে ফেরেছেন এমন নজির নেই। অথচ তাঁর কুলখানিতে গিয়ে খাবার পাননি হাজারো মানুষ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরও খাবার জোটেনি তাদের কপালে। ফলে না খেয়ে ফিরতে হয়েছে তাদের অনেককেই।

সোমবার এমন ঘটনা ঘটেছে ভিআইপি ব্যাঙ্কুইট, স্মরণিকাসহ কয়েকটি কমিউনিটি সেন্টারে। দুপুর ২টায় ভিআইপি ব্যাঙ্কুইট, স্মরণিকা কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে খাবার পাননি অনেকে। টেবিল ঘিরে, সামনে ভাতের প্লেট নিয়ে খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে তাদেরকে।

জালাল উদ্দিন সাগর নামের এক গণমাধ্যমকর্মী সোমবার দুপুর ২টার একটু আগে গিয়েছিলেন ভিআইপি ব্যাঙ্কুইটে। দিয়ে দেখেন লোকে লোকারণ্য। হাজারেরও বেশি মানুষ টেবিল ধরে ঠাঁই বসে আছেন, টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন বহু মানুষ। খাবারের জন্য প্রতীক্ষা সবার। কিন্তু খাবার নেই।

এ প্রসঙ্গে ফেসবুক স্ট্যাটাসে জালাল উদ্দিন সাগর লিখেন, ‌‌‌”মহিউদ্দীন চৌধুরীর লঙ্গরখানা থেকে কেউ কোনো দিন না খেয়ে ফেরেনি, কিন্তু আজ হাজারো মানুষের খাবারের জন্য প্রতীক্ষা। খাবার নেই মহিউদ্দিন চোধুরীর মেজবানে!”

ফেসবুকে খাবারের জন্য প্রতীক্ষার কয়েকটি ছবি জুড়ে দিয়ে ক্যাপশানে লিখেন, ”বেলা ২টায়। নগরীর ভিআইপি টাওয়ার থেকে তোলা।”

ইফতি আহমেদ নামের এক নগরবাসী গিয়েছিলেন লাভলেনের স্মরণিকা কমিউনিটি সেন্টারে। দুপুর ২টা নাগাদ তিনি দেখতে পান সাধারণ মানুষদের জন্য খাবার-বিতরণ বন্ধ থাকলেও বিশেষ ব্যবস্থায় পলিটিক্যাল কিছু লোকের মাঝে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য ‘এই ব্যবস্থা’ নেয়া হয় বলে ইফতি আহমেদ জানতে পারেন।

শুধু স্মরণিকাসহ কয়েকটি কমিউনিটি সেন্টারে পরিস্থিতি সামাল দিতে তাৎক্ষণিকভাবে খাবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল-এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে জালাল উদ্দিন সাগর জানালেন, ভিআইপি ব্যাঙ্কুইটের পরিস্থিতি আলাদা। এখানে খাবার শেষ হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে ২টার দিকে আসা অনেকেই না খেয়ে ফিরে গেছেন।

এ প্রসঙ্গে কথা বলতে মেজবানের আয়োজক মহিউদ্দন-পুত্র ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের মোবাইলে ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে আয়োজক সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, রিমাতে পদদলনে ১০ জনের প্রাণহানির খবর শুনে আয়োজকরা মানসিকভাবে স্ট্যাবল ছিলেন না। ফলে জনস্রোত মোকাবেলায় কোথাও কোথাও খাবার-বিতরণ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছিল।