সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১

ফটিকছড়িতে বিএনপি কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | প্রকাশিতঃ ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২:৪৮ অপরাহ্ন


চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুরে বিএনপির কর্মী মো. শহীদকে (৩২) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চন্দনা নামের এক নারী আহত হন। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারী) রাতে দাঁতমারা ইউনিয়নের বড় বেতুয়া সেলিমের দোকান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শহীদের বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। তার বাবার নাম সাইফুল ইসলাম। ফটিকছড়ি উপজেলার সেমুতাং গ্যাস ফিল্ড সংলগ্ন কালাপানি এলাকায় তার শ্বশুরবাড়ি। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শহীদ বড় বেতুয়া এলাকায় আমান নামের এক বন্ধুর বাড়িতে থাকতেন। তিনি উপজেলা বিএনপি নেতা মো. সরোয়ার আলমগীরের অনুসারী ছিলেন। রাজনৈতিক কোন্দলে এ হত্যাকাণ্ড বলে জানান এলাকাবাসী।

স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের দাবি, শহীদকে পরিকল্পিতভাবে উপজেলা বিএনপির এক নেতার গ্রুপের লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ হত্যাকাণ্ড। ঘটনার পর বিএনপি একাংশের কর্মীরা গা ঢাকা দিয়েছেন।

স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলা বিএনপির নেতা মো. সরোয়ার আলমগীর ও আজিম উল্লাহ বাহার চৌধুরীর অনুসারিদের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিদ্যমান দীর্ঘদিন ধরে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে এলাকায় বালুর মহাল দখল, দখল, চুরি ও বিভিন্ন অপকর্মে দুই গ্রুপের লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলে। সেখানে শহীদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ হাত ছিল। ফলে দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া হয়ে উঠেন।

দাঁতমারা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘শহীদ বেতুয়া এলাকায় অবস্থান নিলে বিক্ষুদ্ধ লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে তার ওপর চড়াও এবং মারধর করেন। আহত অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যু হয়। পরে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। শহীদ বিএনপির একজন সমর্থক মাত্র। ফলে বিষয়টি দলীয় নয়, ব্যক্তিগত।’

দাঁতমারা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মো. একরামুল হক বলেন, ‘শহীদ সরোয়ার আলমগীর ভাইয়ের অনুসারী ছিলেন। প্রতিপক্ষের স্থানীয় নেতা আহমদ সাফার নেতৃত্বে সায়েদ, রফিক, সোহেল, রুবেলসহ ২০-৩০ জন তাকে রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। বিষয়টি সুষ্টু তদন্তের মাধ্যমে বিচার হওয়া দরকার।’

ভুজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুল হক বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় স্থানীয় বিএনপির এক গ্রুপ জড়িত থাকতে পারে। আমরা বিস্তারিত খবর নিচ্ছি। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’