ঢাকা : আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম সোমবার (২৮ অক্টোবর) এ রিট আবেদন করেন। তাদের হয়ে আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম রিটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রিটে দলটির বিগত তিনটি নির্বাচন (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) অবৈধ ঘোষণা এবং অবৈধভাবে প্রাপ্ত সুবিধাগুলি ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মো. মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চে শিগগিরই এই রিটের শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে। পৃথক এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম জানান, তারা দুটি রিট দায়ের করেছেন, যার মধ্যে একটিতে তিনটি নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে এবং অপরটিতে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার দাবি জানানো হয়েছে।
তবে তারা স্পষ্ট করেছেন যে, রিটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে নিষিদ্ধ বা নিবন্ধন বাতিলের দাবি করা হয়নি।
উল্লেখ্য, এর আগে গত আগস্টে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে একটি রিট করা হয়েছিল, যা বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ খারিজ করে দিয়েছিলেন। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত হয়।
অতীতে, সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তবে ক্ষমতা গ্রহণের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করে।