খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান এবং জেলা পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকালে খাগড়াছড়ি বাজার ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, “আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেছি। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য কমিটি করা হয়েছে। নতুন করে যাতে সহিংসতা না বাড়ে সে জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “খাগড়াছড়ি সদরে পিটুনিতে শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনার জেরে পাহাড়ি-বাঙালি দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।”
পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, “শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় যে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা মোকাবেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আইন কোনোভাবে নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। এখন পর্যন্ত দুটো মামলা হয়েছে। শিক্ষক হত্যার ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। নিহতের পরিবারের সদস্যরা এখনও খাগড়াছড়ি এসে পৌঁছায়নি। তারা আসলে মামলা হবে।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের অভিযোগ এনে আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানা নামে এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট করা হয়। এই ঘটনার জেরে জেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য।