ঢাকা : জাতীয় প্রেসক্লাবে “ইনট্রোডাকশন অব পিপলস উইল ২০২৪ ও নতুন সংবিধানের আকাঙ্খা” শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকালে ওয়ার্ল্ড ইন্টিগ্রিটি ফর সার্ভিং হিউমেনেটি (উইশ) আয়োজিত এ আলোচনায় বক্তারা সর্বদলীয় অভিভাবক কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবি জানান।
উইশ প্রধান ছিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও পরিচালনায় অনুষ্ঠানে ‘কি নোট’ উপস্থাপন করেন লেখক ও বুদ্ধিজীবী রিফাত হাসান।
আলোচনায় লেখক, বুদ্ধিজীবী রিফাত হাসান বলেন, বর্তমান সংবিধান তার নৈতিক বৈধতা হারিয়েছে। এখন গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে হারানো রাষ্ট্রের মালিকানা ফিরে পাওয়ার সময় এসেছে এবং এর জন্য নতুন সংবিধান প্রণয়ন জরুরি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর মাইমুল আহসান খান বর্তমান সংবিধানের সমালোচনা করে বলেন, এটি একটি অপ্রয়োজনীয়ভাবে ফুটনোট দিয়ে ভরা দলিল এবং এতে ভারতীয় সংবিধানের খারাপ দিকগুলো অনুকরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত করতে হলে সংবিধান তাদেরকেই লিখতে হবে।
এবি পার্টির সহকারী সদস্য সচিব ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক বলেন, বর্তমান সংবিধান স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটায়নি। সংবিধানের আমূল পরিবর্তন অনিবার্য। বর্তমান সংবিধানের অপরিবর্তনশীল অনুচ্ছেদগুলো ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ ও সমাজ বিশ্লেষক শাহ আলম, ব্যারিস্টার মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম।
আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন লেখক ও গবেষক মনওয়ার শামসী সাখাওয়াৎ, আমানুল্লাহ, উম্মে ফারহানা, সংবিধান ও আইন বিশ্লেষক আরিফ খান, শিক্ষক ও গবেষক ড. ছালেহ্ মুহাম্মদ শাহরিয়ার, নাফিজ আহমদ, সরওয়ার ওদুদ চৌধুরী, ফজলুল করিম, কথাসাহিত্যিক ও চিন্তক ফারুক আব্দুল্লাহ, নাশাদ মযুখ, সৌরভ মাহমুদ ও আব্দুল মুকিম প্রমুখ।