ঢাকা : বিএনপি দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থানে দখলবাজি এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে। দলটি এই নেতাদের শুধুমাত্র বহিষ্কার করেই ক্ষান্ত হয়নি; তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও নিচ্ছে, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান সোমবার রাতে জানান, দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ঢাকার মোহাম্মদপুরে খালের জায়গা দখল করে সাইনবোর্ড লাগানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ অন্যান্য নেতারা খালের জায়গাটি দখলমুক্ত করেছেন এবং সেইসাথে থানায় এজাহার দাখিল করেছেন।
মোহাম্মদপুর ছাড়াও দেশের অন্যান্য স্থানে দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত নেতাদের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ভালুকা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চুসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে ভালুকা থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে। এজাহারটি দাখিল করেছেন দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, যিনি জানান, বিএনপির নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স জানান, “বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু ব্যক্তি বিএনপির নাম ব্যবহার করে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ সিনিয়র নেতৃত্ব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সতর্ক করে সংগঠনগত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন।”
এই শুদ্ধি অভিযান বিএনপির ভেতরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে অগ্রসর হচ্ছে।
বিএনপির এই পদক্ষেপ দলটির ভেতরে এবং বাইরে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। দলের ভেতরে যারা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দলের অভ্যন্তরীণ শুদ্ধি অভিযানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।