চুয়েট প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) -এর তথ্যপ্রযুক্তি খাতে চাকরি-প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের জন্য ‘জব অফারিংস ইন জাপানিজ কোম্পানিস’ শীর্ষক এক সেমিনার হয়েছে।
অদ্য সোমবার সকালে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের অপারেটিং সিস্টেম ল্যাবে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
সেমিনারে রিসোর্স পারসন হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাপানের লিংক স্টাফ কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক জনাব ইয়াসোয়াকি সুগিতা (Yasuaki Sugita) এবং জনাব হিরোয়োকি তাছিবানা (Hiroyuki)। কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইআইসিটি) এর পরিচালক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ, সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন সিএসই বিভাগের প্রভাষক জনাবা ফারজানা ইয়াসমিন।
চুয়েট উপাচার্য বলেন, কর্মক্ষেত্রের জন্য জাপান বিশ্বের সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা। জাপানিরা তাদের উন্নতির পেছনে প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার ও মানুষের বিকল্প হিসেবে রোবটিক চর্চা কাজে লাগিয়েছে। আমাদের চুয়েটের তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে এই খাতে দারুণ সম্ভাবনা দেখিয়েছে। আশা করছি চুয়েটের শিক্ষার্থীরা জাপানিজ কোম্পানিগুলোর চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে। এ সময় চুয়েট ভিসি জাপানিজ কোম্পানিটিকে সিএসই বিভাগে একটি রিসার্চ সেন্টার স্থাপনের জন্য অনুরোধ জানান।
সেমিনারে ইয়াসোয়াকি সুগিতা বলেন, জাপান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিক থেকে পৃথিবীর তৃতীয় দেশ। জাপানের প্রবৃদ্ধি এখন প্রায় ৬ হাজার বিলিয়ন ডলার। আমরা তথ্যপ্রযুক্তি এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স (এ.আই. ইন্ডাস্ট্রি) কিংবা আউটসোর্সিং খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। সেক্ষেত্রে জাপানের বেশকিছু কোম্পানিতে আইটি প্রকৌশলী দরকার।
মিস্টার সুগিতা বলেন, এশিয়ার মধ্যে ভারতের তরুণরা মাইক্রোসফট, গুগল, এ্যাপলসহ বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানিতে কাজ করছে। আমরা চাই আরো বেশি বাংলাদেশের তরুণ প্রযুক্তি প্রকৌশলীরা জাপানে কাজ করুক। তাই বাংলাদেশের ১৫ টি বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা সেমিনার করেছি। চলতি বছরের ডিসেম্বরে ঢাকায় আমরা একটি জব ফেয়ার করতে যাচ্ছি। যেখানে দেশের বাছাইকৃত ২০০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। সেখান থেকেই সরাসরি মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে জাপানে কাজ করা পাবেন।